জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সিনেটের বার্ষিক বিশেষ অধিবেশন গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য তার অভিভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দান, বেশ কয়েকটি বেসরকারি কলেজকে অবকাঠামোগত সহায়তাদান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মডেল কলেজে উন্নীতকরণ, শতবর্ষী কলেজসমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই গত এক বছরে দেশে ও দেশের বাইরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেন এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি পুরাতন ঢাকার চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সম্প্রসারণ ঘটেছে, এখন আবশ্যক গুণ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা। এটি আজ গ্লোবাল কনসার্ন। তাই জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার ৪ নম্বর দফায় ‘মানসম্পন্ন শিক্ষার’ বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশব্যাপী ২ সহস্রাধিক কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
সিনেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান এম এ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মিয়া, এ এস কাইয়ুম উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আখতার ফারুক শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুপারিশ আকারে বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজ মু. হাসান বাবু, অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, বিভাগীয় কমিশনার, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনসহ ৬০ জন সিনেট সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।