রবিবার দুপুর ২ টা। রায়হানা ও রুপা বের হয়েছে খালেদা জিয়া হল থেকে। গন্তব্য সমাজবিজ্ঞান অনুষদ। শহীদ মিনারের সামনে আসতেই শুরু হলো বৃষ্টি।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হাঁটতে শুরু করলেন দুই বান্ধবী। এক পা রাখার পর অন্য পা রাখতেই শুরু হলো শিলা বৃষ্টি। গন্তব্য বাদ, শিলা বৃষ্টিই তাদের উপলক্ষ্য। শুধু রায়হানা আর রুপাই নয় বসন্তের প্রথম প্রহরে শিলা আর বৃষ্টির মিতালিতে মেতে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শিলা বৃষ্টি। অবিরাম এ শিলা বর্ষণ উপভোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মহোদয়। সব মিলিয়ে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিই পাল্টে দিল ক্যাম্পাসের পরিবেশ। যার প্রতিফলন ঘটল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। মনের মানুষকে শিলা বৃষ্টির সাথে সম্পৃক্ত করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়াও তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে শিলা বৃষ্টিকে উপভোগ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। সাথে শিলা বৃষ্টির চমৎকার কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন। শুধু এ শিক্ষকই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ শিলা বৃষ্টি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও নতুন আমেজ যুক্ত করে এ শিলা বৃষ্টি। বিরতিতে শিলা বৃষ্টিকে নিয়ে মেতে ছিলেন তারা। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুরশিদুল আলম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সত্যিই আমি অভিভূত। এ অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। আকাশ থেকে অবিরাম শিলাধারা ঝরছে আর আমি উপভোগ করছিলাম।
ক্লাস রুমের জানালার ফাঁক দিয়ে অপলক থাকিয়ে এ মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার অনুভূতি জানিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজা শিমু বলেন, শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, আমার জীবনের সেরা অনুভূতি এটি। মনে হচ্ছিল মুহূর্তের জন্য অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।