সারাবিশ্বে টমেটো একটি জনপ্রিয় সবজি। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিটি কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। দেখতে সুন্দর, স্বাদও চমৎকার। খাবারে টমেটোর ব্যবহারেও রয়েছে বৈচিত্র।
বিশেষত সালাদ হিসাবে টমেটোর জুড়ি নেই। বিভিন্ন ডিজাইনে টমেটো কেটে চমৎকার সব দৃষ্টিনন্দন সালাদ তৈরি করে নানারকম খাবারের সাথে পরিবেশন করা হয়। অনেকের প্রিয় সবজিও এটি। এখন দেখে নেওয়া যাক এটি আমাদের শরীরে কি ধরনের প্রভাব ফেলে।
১. সাধারণত ভিটামিন-সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। স্কার্ভি হলে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, হাড়গুলোর ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়, রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়, চেহারা ফ্যাকাসে দেখায়, ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হয়। আর এই স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ টমেটো খুবই কার্যকর।
২. টমেটো ত্বকের জন্য বিশেষ আশীর্বাদ। ত্বক মসৃণ এবং সুন্দর রাখতে টমেটো বিশেষ কার্যকর।
তাই রূপ চর্চায় যুগযুগ ধরে টমেটো ব্যবহার হয়ে আসছে।
৩. মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত টমেটো খেলে মানুষের স্লিম থাকার আদম্য ইচ্ছাপূরণ হবে।
৪. আগেই বলা হয়েছে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। যা চোখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৫. টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন-‘কে’ হাড় এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত করে।
৬. টমেটো রক্ত পরিষ্কার রাখে। ফলে নিয়মিত টমেটো খেলে রক্তের দূষিত উপাদান চলে যায়।
৭. টমেটোয় বিদ্যমান নিকোটিনিক এসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমায়; কাজেই হৃদরোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক।
৮. টমেটোর রং লাল হওয়ায় এতে লাইকোপিন নামক এক ধরনের শক্তিশালি এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যেমন: পাকস্থলী, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, গ্রাসনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে টমেটো। আরও বিশেষভাবে জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৯. ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, বদহজম এবং জন্ডিসের জন্যও টমেটো উপকারী।
তাহলে আর দেরি না করে শীতের এই চমৎকার সবজিটি আপনার খাবার তালিকায় রাখুন নিয়মিত। আর নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে রাখুন সুস্থ ও সবল।