ঢাকা:সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। সেনাবাহিনী মনোনীত বা সেনাবাহিনী সমর্থিত এমপিরা এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সত্ত্বেও এ প্রস্তাব পাস করেছে পার্লামেন্ট। সংবিধান সংশোধন করা হলে তাতে সেনাবাহিনীর বর্তমান ক্ষমতার প্রতি চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০০৮ সালে সংবিধানের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী। ওই খসড়াটিতে অসাংবিধানিক বলে মনে করে নেত্রী অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। গত সপ্তাহে এই দলটি সংবিধান সংশোধনের জন্য পার্লামেন্টে একটি ‘ইমার্জেন্সি প্রোপোজাল’ বা জরুরি প্রস্তাব জমা দেয়। সেই প্রস্তাবটির প্রেক্ষিতে একটি প্যানেল গঠনের বিষয় আজ বুধবার ভোটে পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
প্রায় তিন বছর ক্ষমতায় অং সান সুচি। কিন্তু এ সময়টি তার জন্য সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। পার্লামেন্টে যখন আজ এ প্রস্তাবটি ভোটে পাস হয় তখন সেনাবাহিনী নিয়োজিত পার্লামেন্ট সদস্যরা কড়া প্রতিবাদ জানান। বিরোধিতা প্রকাশ করতে তারা নীরবে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নৃশংসতার ঘটনায় দেশটির সামরিক ও বেসামরিক নেতারা আন্তর্জাতিক প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছেন। ঠিক এমনই এক সময়ে সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি প্যানেল গঠনের প্রস্তাব পাস হলো।