প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত,বৃহত্তর বরিশাল ব্যুরো প্রধান:
বাংলাদেশের ইতিহাসে সততা, ন্যায়পরায়ণতা,নৈতিকতা, কর্মদক্ষতা ও আদর্শের মাপকাঠিতে যে কজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যোগ্যতম স্থানে নিজেকে দাড় করাতে সমর্থ হয়েছেন তন্মধ্যে একটি অত্যুজ্জ্বল নাম শ. ম. রেজাউল করিম।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এই শ ম রেজাউল করিম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ছিলেন সাংবাদিক, এরপর আইনজীবী আর ২০১৯ সালে এসে হলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের পূর্ণমন্ত্রী।সন্দ্বীপ পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। এরপর কাজ করেছেন দৈনিক ভোরের কাগজে। সাংবাদিকতায় সর্বশেষ কাজ করেছেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি হিসেবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হওয়ার পরেও দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেব কাজ করেছেন। তিনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার আদালত প্রতিনিধি ছিলেন।’ এরপর তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে পুরো সময় দিয়েছেন আইন পেশা এবং রাজনীতিতে। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে না নিলেও বিভিন্ন টেলিভিশন টকশো, পত্র-পত্রিকায় কলাম লেখাসহ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখনো আছেন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বও দিয়েছেন শ ম রেজাউল করিম। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০০৯-১০ সেশনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। বার কাউন্সিলে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পিরোজপুরের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন শ ম রেজাউল করিম। তার পিতার নাম আব্দুল খালেক শেখ। মাতা মাজেদা বেগম। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আলহাজ্জ্ব শেখ মোঃ আবুল বাশার পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন। মেজ ভাই এস এম নজরুল ইসলাম বাবুল স্থানীয় রাজনীতি ও সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ভাইদের মধ্যে তৃতীয় শ. ম. রেজাউল করিম। এস এম নওশের বাদশা শামীম ভাইদের মধ্যে চতুর্থ যিনি শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। ছোট ভাই এস এম নূরে আলম শাহীন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি শ. ম. রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠিত আজকের দর্পন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। শ. ম. রেজাউল করিম পারিবারিক জীবনে মহীয়সী স্ত্রী কবি ফিরোজা পারভীন, পুত্র লন্ডন ফেরত ব্যারিস্টার তানভীর করিম রাসেল শেখ এবং লন্ডনে ব্যারিস্টারী অধ্যয়ন রত কন্যা সাদিয়া করিম স্নিগ্ধাকে নিয়ে পরম সুখে জীবন অতিবাহিত করছেন। এড. শ.ম. রেজাউল করিম ১৯৮০ সালে খুলনার দৌলতপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি), ১৯৮১ সালে খুলনা কৃষি কলেজের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে নাজিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । পরে ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।একাদশ জাতীয় সংসদে পিরোজপুর-১ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন এই পরম গুনী ব্যক্তিত্ত্ব। পিরোজপুরবাসী এমন নেতার জন্য গৌরবান্বিত। এমন নেতার জেলায় জন্মগ্রহণ করে আমরা ধন্য।