একজন দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান ও নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আরেকজন জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষক।
হঠাৎ একে অন্যকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য কেড়ে নিল উপস্থিত সবার দৃষ্টি। এ চিত্র প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বন্ধনের চিত্র ধারণ করতে সবকটি ক্যামেরার ফ্লাশ একসঙ্গে জ্বলে ওঠে। সেই দিনের স্মৃতি রোমন্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
নীচে তা তুলে ধরা হলো——
‘উত্তাল দিনগুলোতে রাজপথে ছিলেন একসাথে। রাজনীতির আদর্শের মতভিন্নতা ছিল। দেশের প্রশ্নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক দু:শাসনের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। সেই সম্পর্ক এখনো অটুট আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা হলেই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন।
কৈশোরের সেই দিনগুলোতে বারবার ফিরে যান। কিরকম ছিল সেই আন্দোলনের দিনগুলি, সেই সময়ের ছাত্র রাজনীতিসহ নানা খুনসুটি। এরই একজন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হ্যাট্রিক জয়ে দেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শিগগিরই শপথ নিবেন। এই শেখ হাসিনা এখন শুধু আর বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের সভাপতি কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন। তিনি এখন পুরা বিশ্বের বিস্ময়। যিনি গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৃতীয় বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নতির শিখরে। বিশ্ব মোড়ল’রা এখন বাংলাদেশের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে, সমীহ করে চলে। তা সম্ভব হয়েছেশুধু শেখ হাসিনার ক্যাটিসমেটিক নেতৃত্বের কারণেই।
ছবিতে আরেকজন যাকে দেখছেন তিনি প্রফেসর নাজমা শামস। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি। আজ গণভনে এসেছিলেন ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানাতে। দেখেই একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কের এই উষ্ণতা দেখে অভিনন্দন জানাতে আসা সকলের উৎসুক দৃষ্টি তখন সেদিকে। একে একে ক্যামেরাগুলোর ফ্লশলাইট জ্বলসে উঠলো। তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই মুখ খুললেন। জানালেন, তিনি যখন ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন তখন প্রফেসর নাজমা শামস ছিলেন জিএস। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগ থেকে, আর নাজমা শামস ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল খুবই আন্তরিকতায় ভরপুর। সেই সম্পর্ক এখনো আছে। ’