ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ভি চিহ্ন দেখান ঘটনাবহুল এক ভোট। নতুন এক ইতিহাস। পর্বত উচ্চ ফল। মহাজোটের মহাবিজয়। অভূতপূর্ব এ ফল ভেঙে ফেলেছে সব হিসাবনিকাশ। মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে সব জরিপ আর পূর্বাভাস। এমন এক বিজয় নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতার মসনদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আওয়ামী লীগ বলছে এ বিজয় ঐতিহাসিক।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে গতকাল নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯৪টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ী হয়েছে ২৮৩ আসনে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে ৭টি আসনে। অন্যান্যরা জয়ী হয়েছে ৪টি আসনে। ভূমিধস এ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এখন মিছিল করার সময় নয়, দেশ গড়ার সময়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ফলে প্রমাণ হয়েছে দেশের মানুষ শেখ হাসিনায় খুশী। আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের মানুষ। একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ জোটকে ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে ভোটের মাঠে কোণঠাসা থাকা বিরোধী জোট শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকেও ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। দাবি করা হয়েছে নতুন নির্বাচনের। নির্বাচন নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে জোটের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তাও প্রমাণ হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাম জোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ অন্য দলগুলোও ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচন দাবি করেছে। শুরু থেকেই নতুন ধরনের পরিবেশ ছিল নির্বাচনে। তফসিল ঘোষণার পর প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রাধান্য।
একপর্যায়ে শুরু হয় বিরোধী জোটের প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা। প্রচার-প্রচারণার সময় এমন হামলা ছিল নজিরবিহীন। হামলায় রেকর্ডসংখ্যক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আহত হন। ভোটের আগে একপক্ষীয় প্রচার, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে ভোটের মাঠে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় ছিল বিরোধী জোট। এমন অবস্থায়ই শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণায় আশা জেগেছিল তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে। তবে গতকাল ভোটের মাঠে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রায় সারা দেশে বিরোধী পক্ষের প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ এসেছে গণহারে। রাতেই ভোট দিয়ে বাক্স ভরে রাখার তথ্য এসেছে অনেক জায়গা থেকে। ভোটের আগের রাত থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতাকর্মীরা দিনভর ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। দলীয় নেতাকর্মী আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মিলে একাকার হতে দেখা গেছে ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে। বিরোধী প্রার্থীদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রের বাইরে নানা হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীই বেশি। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। নির্বাচন চলাকালে শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন অনিয়মের অভিযোগ তুলে। নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকা বা কর্মী সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে বাধা দেয়ার কারণে নিজের ভোটাধিকারই প্রয়োগ করেননি অনেক প্রার্থী।
ঢাকায় ভোট দেননি বিএনপি প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস। কিশোরগঞ্জে নিজের ভোট দেননি বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। এদিকে সকালে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। পরে সেখানে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে ভোট দেয়ার পরই শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা আশা করি যেসব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। এদিকে রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা স্কুলে সকালে ভোট দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। ভোট দেয়ার পর তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে তার জোট বিজয়ী হবে। রাতে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি করেন। নিজের বেইলি রোডের বাসায় করা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় চূড়ান্ত করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২২টি কেন্দ্র ছাড়া বাকি সব স্থানে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এদিকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী হাতেগোনা কয়েকটি আসন ছাড়া প্রায় সব আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
রাতে নির্বাচন কমিশন প্রথম আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মাধ্যমে। এ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২২৯৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট। এদিকে নির্বাচন ঘিরে শনিবার বিকাল থেকে বন্ধ হওয়া ইন্টারনেট সেবা গতকাল রাত থেকে আবার চালু করা হয়েছে।
নির্বাচিত যারা
ভোলা-১ আসনে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২১৭ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির গোলাম নবী আলমগীর পেয়েছেন ৭ হাজার ২২৪ ভোট। ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের আলী আজম মুকুল জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ১২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাফিজ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৯৯ ভোট। ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা মো. মোসলে উদ্দিন পেয়েছেন ৪হাজার ৫৫ ভোট।
ভোলা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী এডভোকেট মহিবুল্লাহ পেয়েছেন ৬ হাজার ২২২ ভোট। ঠাকুুরগাঁও-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদ। তিনি পেয়েছেন ৮৭,১৬৫ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক পেয়েছেন ৮৪১০৯ ভোট।
ফেনী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শিরীন আখতার পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৮১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের রফিকুল আলম মজনু পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬১৬ ভোট। ফেনী-২ আসনে নৌকার নিজাম উদ্দিন হাজারী পেয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম বিএনপির জয়নাল আবদিন (ভিপি জয়নাল) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৮৪ ভোট। ফেনী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির লে. জে (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আকবর হোসেন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৭৪ ভোট। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২,১৫,৩৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান সিনহা পেয়েছেন ১৪,০৬৫ । মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩,১৩,৩৫৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল হাই পেয়েছেন ১২,৭৩৬ ভোট। বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২,৬৭,৪৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাজী রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬,৬৯০ভোট।
বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১,৭৮,৩৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মাহমুদুর রহমান মান্না পেয়েছেন ৬২,৩৩৯ ভোট।
বগুড়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার ১,৫৭,৭৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাছুদা মোমিন পেয়েছেন ৫৮,৬৪৪ ভোট।
বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির মোশারফ হোসেন ১,২৬,৭২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ৮৪,৬৭৯ ভোট। বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের হাবিবর রহমান ৩,৩২,৮১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ পেয়েছেন ৪৭,৪০১ ভোট।
শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন অপু ২,৭২,৯৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাত পাখা পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ ভোট।
শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের একেএম এনামুল হক শামীম ২,৭২,১৯২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ২,১১৫ ভোট।
শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নাহিম রাজ্জাক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭,২১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাত পাখা প্রতীক পেয়েছে ২,৭৪৬ ভোট। নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মানু মজুমদার ২,৩৯,৭৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পেয়েছেন ১৬,৩৩২ ভোট। নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু ২,৮৩,৪৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী বিএনপির অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক পেয়েছেন ৩০,৫৭৩ ভোট।
নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল ২৭,০৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী হক পেয়েছেন ৭,২২৮ ভোট। নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের বেবেকা মমিন জয়ী হয়েছেন। নেত্রকোনা-৫ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু তাহের তালুকদার পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৮২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রেজাউল করিম খান চুন্নু পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪শ’ ভোট। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূর মোহাম্মদ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩২৩ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নু ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেএসডি’র ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৮৬ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৪হাজার ৮শ’ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন ২ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৫০ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯১৪ ভোট।
যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিন জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ২৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি পেয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ ভোট।
যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল (অব:) ডাঃ নাসির উদ্দিন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কারান্তরীণ জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।
যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৩৩ ভোট। যশোর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের রনজিত কুমার রায় জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৪ ভোট। যশোর-৫ আসনে আওয়ামীলীগের স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির মুফতি ওয়াক্কাস পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০ ভোট। যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৮ভোট। নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম বকুল জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৪৪৮১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির কামরুন নাহার শিরিন পয়েছেন ১৪৮৭৯ ভোট। নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম শিমুল ২৬০৫০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির সাবিনা ইয়াসমীন ছবি পেয়েছেন ১৩৪৫৯ ভোট। নাটোর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের জুনাইদ আহমেদ পলক ২৩০২৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির দাউদার মাহমুদ পেয়েছেন ৮৫৯৩ ভোট। নাটোর-৪ আসনে আওয়ামীলীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৮৬২৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মৃধা পেয়েছেন ৬৯৭৯ ভোট।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের জাহিদ মালেক স্বপন জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২লাখ ২৬ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির মফিজুল ইসলাম খান কামাল পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯শ ৮১ ভোট।
কুষ্টিয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২লাখ ৭৮হাজার ২শ ৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রেজা আহমেদ বাচ্চুর পেয়েছেন ভোট ৩হাজার ৪শ ২০। কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ২লাখ ৮২হাজার ৬শ ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী আহসান হাবিব লিংকন পেয়েছেন ৩৫হাজার ৭শ ৫১ ভোট। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফ ২লাখ ৯৬হাজার ৫শ ৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
কুষ্টিয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ২লাখ ৭৮ হাজার ৮শ ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হন। নীলফামারী-১ আসনে আওয়ামী লীগের আফতাব উদ্দিন সরকার ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নীলফামারী-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৯৫ ভোট। নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মেজর (অবঃ) রানা মুহাম্মদ সোহেল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নীলফামারী-৪ আসনে জাতীয় পার্টির আদেদুল রহমান আদেল জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩০ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামীলীগের বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ১ লাখ ১ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামীলীগের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ৩,৯৩,৫২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এডভোকেট আনিসুল হক ২ লাখ ৮২ গাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগের মো: এবাদুল করিম বুলবুল ২,৫০,৫২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামীলীগের ক্যাপ্টেন অব: এবি তাজুল ইসলাম ২,০০০৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৯ ভোট।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এক লাখ ১১ হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এক লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী দুই লাখ ২৩ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ন চন্দ্র চন্দ দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান বাবু দুই লাখ ৮৫ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা-১ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী শামসুল হক টুকু ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে ে নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা-২ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-৩ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মকবুল হোসেন ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-৪ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা-৫ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের ী গোলাম ফারুক প্রিন্স।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরী ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮১ ভোট জয়ী হয়েছেন। দিনাজপুর- আসনে আওয়ামী লীগের মনোরঞ্জনশীল গোপাল ১৯৮৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামীলীগের খালিদ মাহমুদ চৌধূরী ১৯০৭৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের ইকবালুর রহিম ২৩১৭৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামীলীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২৩২১১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দিনাজপুর-৫ আসনে আওয়ামীলীগের এ্যাভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১৯১৪৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শিবলী সাদিক ২৮১৮৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মোঃ শাহাব উদ্দিন্র ১,৪৪,১২১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ৭৯,৭৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নেছার আহমদ ১,৮৫,৭৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ২,১৪,৩০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রাববাড়ি-১ আসনে আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলী ২৩৮৯১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রাজবাড়ি ২ আসনে আওয়ামী লীগের মো. জিল্লুল হাকিম ৩৯৮৯৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।