গাজীপুর: গাজীপুর-৫(কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক(ঢাকা বিভাগ) এ কে এম ফজলুল হক মিলনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহসপতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কালিগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণাকালে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় মিলনের সাথে আরো ৩/৪জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজলুল হক মিলনের বাড়ি কালিগঞ্জ থানার তুমুলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামে। সকাল থেকে মিলন নিজ বাস ভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া সভা করছিলেন। বেলা ৩টার দিকে প্রচারণার জন্য বাইরে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় সাড়ে ৩টার দিকে এক দল পুলিশ বাসার ভেতর থেকে মিলনকে আটক করে নিয়ে যায়। অতঃপর কালিগঞ্জ থেকে গাজীপুর ডিবিতে নিয়ে আসা হয় বলে সূত্রের দাবী।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার বলেন, ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় করা সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতেই তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ফজলুল হকের স্ত্রী শম্পা হক জানান, ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ৩৩টি ‘রাজনৈতিক’ মামলা রয়েছে। তিনি সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। গত বুধবার তিনি সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরেন। এরপরও তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে।
শম্পা হক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার সেরে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ফজলুল হক। এমন সময় গোয়েন্দা পুলিশ এসে বলে ‘ওপরের নির্দেশে’ তাঁকে আটক করা হচ্ছে। শম্পা হক বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁদের ঢাকার বাসায়ও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ফজলুল হক গ্রেপ্তার–আতঙ্কে এত দিন গাজীপুরে যাননি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি নির্বাচনী কাজে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।