ইচ্ছাকৃত অবৈধ সর্ম্পক ধর্ষণ কিভাবে হয়!
নাজনীন আক্তার হ্যাপি।‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা তিনি। কিন্তু তার কিছু আশা এখন ধুলিস্মাত, পেলেন না কিছু ভালবাসাও। তাই, নাম হ্যাপি হলেও তিনি এখন আর হ্যাপি (সুখী) নন। বরং প্রেমের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হ্যাপি। জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন নাজনীন আক্তার হ্যাপী নামের এক অভিনেত্রী।।
কিন্তু ইচ্ছা কৃত প্রেমের সর্ম্পক স্থাপন করে অবৈধভাবে শারীরিক সর্ম্পক কিভাবে ধর্ষন হয়। এর ভাষা হতে পারে প্রেমের নামে প্রতারণা কিন্তু ধর্ষণ নয়। যা প্রমান হয় নাজনীন আক্তার হ্যাপির সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত মোবাইল ফোন আলাপে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত: মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় হ্যাপির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে আমার ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।’
হ্যাপি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পড়ে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নেই। তুমি পড়াশোনা শেষ কর। তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।’
‘৩/৪ দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিয়ে করবে না তো এতদিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন? এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বা্ধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো,’ অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।’
এই থেকে প্রমান হয় নাজনীন আক্তার হ্যাপি ইচ্ছাকৃত ভাবে রুবেল হোসেনের সাথে অবৈধ প্রেমের সর্ম্পকে লিপ্ত হয়েছিলেন। রুবেল হোসেনের তাকে ধর্ষন করেনি। আমাদের সাধারণ মানুষের ধারনায় এটাই প্রমানিত হয়। কিন্তু আইন এই ঘটনাকে কি বলবে ধর্ষণ নাকি প্রতারণা। এটাই জনমনে এখন প্রশ্ন……