ঢাকা: রং মিস্ত্রীর প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্রের মিনাসোটা থেকে বরিশালে ছুটে এসেছেন সারা মেরিয়ান! ( ছবিঃ সারা মেরিয়ান এবং রং মিস্ত্রী )
এই জীবনে করলাটা কি তোমরা আমার ভাইরা
কিছু দিন আগে টাইমলাইন গরম ছিলো প্রেমের টানে অামেরিকার মেয়ে ফরিদপুরে চলে এসেছিলো বলে,
১৭ মে’১৭ থাইল্যান্ডের মেয়ে ওম প্রেমের টানে বাংলাদেশের নাটোরের অনিকের কাছে এসে তাকে বিয়ে করে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলো!
৩১ জুন’১৭ রাশিয়ার মেয়ে সিভেতলেনা প্রেমের টানে বাংলাদেশের শেরপুরের ধর্মকান্তের কাছে ফিরে এসে তাকে বিয়ে করে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলো!
২8 আগষ্ট’১৭ মালয়েশিয়ার মেয়ে জুলিজা প্রেমের টানে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের ছেলে মনিরুলের কাছে এসে তাকে বিয়ে করে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলো!
এছাড়াও,
চাঁদপুরের যুবক আলমগীরের প্রেমের টানে ফিরে এসেছিলেন ভিয়েতনামের টিউ থিথু!
ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাসের টানে আমেরিকার এলিজাবেথ!
রাজারবাগের শামীম আহমেদের টানে পোল্যান্ডের ক্যাটরিনা!
বরিশালের সাইদুল আলমের টানে অস্ট্রেলিয়ার এমিলি!
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশিকের টানে মালয়েশিয়ার ফাতেমা!
বিয়ানীবাজারের মাহবুবুর রহমানের টানে আয়ারল্যান্ডের ইফা!
রাজবাড়ির সঞ্চয় ঘোষের টানে ব্রাজিলের মেয়ে সিলভা!
এদের বেশীরভাগ ই কিন্তু ফেসবুক প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে শিরোনাম হয়েছিলেন! বাংলাদেশ প্রতিদিন তাদের নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে এবং নাম গুলো দিয়ে সার্চ দিলে আপনি অসংখ্য পত্রিকা প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে…. এমন নিউজগুলো পাবেন!
সময় ২০১১ কিংবা ১২ এমন সময়ে আমিও মালয়েশিয়ান এবং ইন্দোনেশিয়ান কিছু মেয়েদের সাথে চ্যাট করতাম!
ভিন্না নামক এক ডিবোর্সিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা কেনো বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানী ছেলেদের পছন্দ করে?
উনি বলেছিলেন,
মালয়েশিয়ান ম্যাক্সিমাম ছেলেরা ঘরে বউ রেখে রবিবার বারে যায়! অন্যান্য মেয়েদের সাথে মেলামেশা করে বউ তা জানলেও ওখানে এটাই কালচার যার কারণে ওখানে ডিবোর্স বেপারটা ডাল ভাতের মতো!
ওরা মেয়েদের দায়িত্ব নিতে জানে না তেমন! যে যার মতো থাকে!
পান থেকে নুন খসলেই দুই জন দুই জনের মতো করে আলাদা হয়ে যায়!
তারচেয়ে বড় কথা একজন বাংলাদেশী ছেলে ফেসবুক ইনবক্সে যে আবেগঘন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে তা পুরো বিশ্বে অদ্বিতীয়!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমার একবন্ধু তো চ্যাট করে ইনবক্স লাইক কমেন্ট শেয়ার স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করে ফেলেছিলো! তো মেয়ে জিজ্ঞেস করলো আমাদের বাচ্চা কই? সে একটা বাচ্চার ইমো দিয়ে বললো, আমাদের ডিজিটাল সন্তান