অবশেষে বিশ্বে কার্বন নির্গমন কমাতে ঐকমত্যে পৌঁছান জাতিসংঘ প্রতিনিধি ও বিশ্বনেতারা। শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় জলবায়ু সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে এ বিষয়ে বিশ্ব জলবায়ু চুক্তি করতে রাজি হন তারা।
এর আগে জলবায়ু চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সম্মেলন প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে এমন হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। এরপরই বিশ্ব জলবায়ু চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে একমত হন নেতারা।
লিমায় এ চুক্তির জন্য সপ্তাহব্যাপী বিশ্বনেতারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার এই আলোচনার সময়সীমা শেষ হলেও এর মেয়াদ এক দিন বাড়ানো হয়।
সম্মেলনের সভাপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে একটি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন বিশ্ব প্রতিনিধিরা। আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে এই চুক্তির বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
পেরুর সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধে উন্নত ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকায় আলোচনা কঠিন হয়ে পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ঠেকাতে উন্নত ও গরিব দেশের ভূমিকা কী হবে সেই বিষয়টিও সম্মেলনে অস্পষ্ট ছিল। আর এ নিয়েই তৈরি হয় মতভেদ।
যদিও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমনের জন্য উন্নত দেশগুলোকে দায়ী করা হয়। তাই জলবায়ুর পরিবর্তনের দায় নিতে রাজি নয় উন্নয়নশীল ও গরিব দেশগুলো।
অবশেষে এ চুক্তি হওয়ায় আশার মুখ দেখলো বিশ্ব ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। তবে এ চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করায় জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এ থেকে কী সুবিধা পাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন রোধে এই চুক্তিকে দুর্বল ও অকার্যকর বলে অভিহিত করেছে বিশ্ব পরিবেশ সংক্ষরণ সংগঠনগুলো। তারা একটি কার্যকরী ও স্থায়ী জলবায়ু চুক্তির দাবি জানায়।