ঢাকা:কুষ্টিয়ার সদর ও দৌলতপুর উপজেলায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার কবুরহাট ও দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এই দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দৌলতপুরের জামালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আজম (৩৩) ও একই গ্রামের রিফাজ উদ্দিনের ছেলে মদন (৪৫)। পুলিশ দাবি, দুজনই জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী গোলাগুলি করছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, রাত তিনটার দিকে বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, ৯০০ পিস ইয়াবা বড়ি ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, দুজনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মাদক ব্যবসার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
