গাজীপুর: ১৬ মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা। ২ মামলায় সাজা। এমন একজন দাগী অপরাধী পুলিশের ভয়ে কমপক্ষে মাটির নীচে থাকার কথা। কিন্তু সেই অপরাধী, জেলা পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি এমনকি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রথম কাতারে জায়গা পেলেন কি ভাবে? কমিউনিটি পুলিশের অনুষ্ঠানের মুচি জসিম ব্যানার নিয়ে সাবর আগে আসলেন কি করে?
সম্প্রতি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কুখ্যাত অপরাধী মুচি জসিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহত হওয়ার আগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর হলেও পুলিশ তা অস্বীকার করছে। এদিকে মুচি জসিম নিহত হওয়ার পর প্রশাসন মুচি জসিমের দখল করা বনভূমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে। বনভূমি উদ্ধার নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। তবে এই কাজটি আগে কেন করা হয়নি বা মুচি জসিম কি করে এত পরিমান বনভূমি দখল করল তা নিয়েও প্রশ্ন সর্বত্র।
সাধারণ মানুষ বলছে, মুচি জসিম কি করে এত বড় বড় কর্তা ব্যাক্তিদের প্রিয়ভাজন হল তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। বড় কর্তারা কি তাহলে জসিমকে অপরাধ করতে সহযোগিতা করেছে? এতগুলো মামলা ও স্পর্শকাতর অপরাধ সংঘটনে কারা জসিমকে সহযোগিতা করেছেন তা নিয়ে তদন্ত দরকার।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, মুচি জসিম পুলিশের সোর্সও ছিল। তার মৃত্যুর পর যে ছবি গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষন করলে বুঝা যায়, জসিম পুলিশের সোর্স থাকতে পারেন।
নানা প্রশ্ন
মানুষ বলছে, জসিমকে কেন এত প্রাধান্য দিয়ে বড় বড় কর্তারা তাকে কাছে টেনে নিতেন, তা অনেকটাই পরিস্কার। কারণ কথায় বলে, তেলের মাথায় তেল দেয়া হয়। জসিমের ক্ষেত্রে অবস্থাটা কিছুটা ভিন্ন। কারণ জসিমকে ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর অপরাধী বানানো হয়েছে। যখন সময় বিপরীতে চলে গেছে, তখন জসিম নাই হয়ে গেছেন। তাকে কে নাই করল, কারা করল, কেন করল? তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন
তুঙ্গে। যাদের সাথে জসিমের ছবি আছ তারা অপরাধ নিয়ন্ত্রন করেন তা অপরাধী তৈরী করে অপরাধকে উস্কে দেন তা ভেবে দেখার বিষয়।
তবে যাই হউক, জসিমকে দিয়ে অপরাধ করিয়ে লাভবান হওয়ার পর প্রমান লোপাট করা হয়েছে কি না! তা জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত দরকার। একই সঙ্গে এই ধরণের অপরাধ করলে পরিণতি এমন হতে পারে, তা প্রচারের জন্য গণসচেতনা প্রয়োজন।