‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না’

Slider রাজনীতি

 

004_211086

 

 

 

 

 

সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, বিচার বিভাগ যখন নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য রায় দিচ্ছেন, তখন সরকার এই রায়ের বিরোধিতা করছে। কারণ, তারা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজ বিকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহত্তর সূত্রাপুর ও কোতোয়ালির পাঁচটি থানার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক  হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছেÑ মন্তব্য করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও সংবিধানের সঙ্কট চলছে। এই সঙ্কট দূর করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না। সুতরাং বেগম জিয়ার আন্দোলন ও সংগ্রামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে বর্তমান সরকারকে বাধ্য করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। আর ওই নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মির্জা আলমগীর বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারবে না। তাই গুম, খুন ও নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আগামী দিনের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। তাই আগামী দিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে নগর বিএনপি। আর ওই আন্দোলনে আমাদেরকে  অবশ্যই বিজয়ী ও সফল হতে হবে। খোকার আশু রোগমুক্তি কামনা করে তিনি বলেন, সাদেক  হোসেন খোকা গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে রক্ত দিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে (যুক্তরাষ্ট্রে) অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দিয়েছে। শুধু খোকা নন, বিএনপির চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, অবৈধ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক করে রেখেছে। কারণ, তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা হামলা-মামলা, গুম-খুন করে যাচ্ছে। দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সহ-সভাপতি তারিকুজ্জামান, নাজমুল হাসান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *