ভারতের ক্রিকেটে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ বন্ধ হলো?

Slider খেলা

উপমহাদেশ কিংবা এর বাইরে বেশিরভাগ ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসীন হন সেই দেশের রাজনৈতিক নেতারা। বাংলাদেশ কিংবা ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ভারতের ক্রিকেটে সম্ভবত এবার ব্যতিক্রম কিছু ঘটতে যাচ্ছে। মাধবরাও সিন্ধিয়া, শারদ পাওয়ার, অরুণ জেটলিরা ভারতের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সম্ভবত রাজনীতিকদের ক্রিকেটে প্রবেশের দ্বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

রায়ের ৩২ নম্বর পাতার শেষে বলা হয়েছে, মন্ত্রী অথবা সরকারি চাকুরে বা জন দপ্তর বা পাবলিক অফিসের প্রধানরা বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষ পদে, গভর্নিং কাউন্সিলে বা কোনও কমিটিতে থাকার যোগ্য নন। রায়ের এই অংশের ব্যাখ্যায় আইনি মহল বলছে, রাজনৈতিক নেতাদের হয়তো ক্রিকেট প্রশাসনে কোনো ভূমিকায় আর দেখা যাবে না।

এ ছাড়াও ৬ বছর পদে থাকার পরে তিন বছরের ‘কুলিং অফ’, মোট ৯ বছরের মেয়াদ, সত্তরোর্ধদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, এ সব নিয়ম শুধু শীর্ষ পদে নয়, অন্যান্য কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রেও যে প্রযোজ্য, সে বিধানও দেওয়া হয়েছে এই রায়ে। যা অরাজনৈতিক ক্রিকেট প্রশাসকদেরও ধাক্কা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

এই মুহূর্তে ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে আছেন রাজীব শুক্লা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাদের মতো রাজনৈতিক নেতারা। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বহু ক্রিকেট কর্মকর্তা রাজনৈতিক প্রশাসনে সরাসরি যুক্ত। ওপার বাংলার ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের সাংসদ সুব্রত বক্সী ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিএবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রায়ে তাদের হয়তো আর ক্রিকেটে দেখা যাবে না। যদিও উল্লেখিত রাজনৈতিক শ্রেণির (জন দপ্তর বা পাবলিক অফিসের প্রধান) সঠিক সংজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এক আইনজীবী বলছেন, ‘পি ভি নরসিংহ রাও মামলায় ১৯৯৬ সালে সাংবিধানিক বেঞ্চ নিশ্চিত করে দেয়, সাংসদ, বিধায়ক ও জনসাধারণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সবাই পাবলিক অফিস হোল্ডার বা জন দপ্তরের প্রধান। বোর্ড মামলার রায়ে সেই শ্রেণিরই উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *