একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকরা। এখনই আসন ভাগাভাগি সারতে চায় তারা।
এ জন্য আওয়ামী লীগের কাছে কেউ কেউ তালিকাও জমা দিয়েছে। জোটের শরিকরা এবার দুইশ আসন দাবি করবে বলে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টি মহাজোটগতভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে। সেক্ষেত্রে ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের আসন কমে আসবে। তাদের জন্য সর্বোচ্চ ১৫-১৬টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের শরিকদের মধ্যে সংক্ষিত আসন মিলিয়ে জাসদের ছয়টি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাতটি, তরিকত ফেডারেশন দুটি, জাতীয় পার্টি-জেপি দুটি আসনে বর্তমান এমপি রয়েছেন।
১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে জোটগতভাবে এখনো কাজ শুরু হয়নি। বিভিন্ন সভায় জোটের নেতারা আসন দাবি করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের কাছে। তবে শরিকরা যত আসনই দাবি করুক না কেন আসন ভাগাভাগিটা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই থাকবে।
তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। যেখানে যাকে দিয়ে আসন পাওয়া যাবে সেখানে তাকেই প্রার্থী করা হবে।
জানা গেছে, জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) এবার কমপক্ষে ২০টি আসনের জন্য জোর দাবি জানাবে। তবে তারা ৫৬টি আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি ১৫টি আসন দাবি করবে। জোটের অন্যতম এ শরিক দলটির প্রায় ৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (আম্বিয়া) ৮টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। বিগত সংসদ নির্বাচনের পরে জাসদ বিভক্ত হয়েছে। একটির নেতৃত্বে আছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আরেকটির সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া। গত নির্বাচনে জাসদ চারটি আসনে ১৪ দলের মনোনয়ন পায়। এর মধ্যে তিনটিতে জয় পায় দলটি। জোটের বাইরে দলীয় মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আরও দুটি আসনে জয় পায় জাসদ। সংরক্ষিত নারী আসনের একটিসহ বর্তমানে সংসদে জাসদের ছয়জন এমপি রয়েছেন। এদের মধ্যে ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদে তিনজন ও আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাসদে দুজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। অন্য এক সদস্য দল ভাঙার পরে এখনো তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি। দুই পক্ষের সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। ফলে এবারের নির্বাচনে দুই জাসদের মনোনয়ন তালিকাতেই তার সদস্যের নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দ্বিধাবিভক্ত দুই জাসদকে একীভূত করার একটি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। তবে দুই জাসদ এক হলে হিসাব ভিন্ন হবে বলে জানা গেছে। তরীকত ফেডারেশন দুটি, জাতীয় পার্টি জেপি ২০টি, ন্যাপ ২০টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১৫টি, সাম্যবাদী দল তিনটি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র দুটি, বাসদ (রেজা) ১৫-২০টি আসন দাবি করবে আওয়ামী লীগের কাছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) এবার ৫৬ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। আসন ভাগাভাগির সময় এই তালিকা জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের কাছে তুলে দেওয়া হতে পারে। চূড়ান্ত হিসাবে এ তালিকা কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত করা হতে পারে। এর মধ্যে কমপক্ষে ২০টি আসনে জোর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাদের চাহিদা হচ্ছে, হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া-২), শিরীন আখতার (ফেনী-১), অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪), মিসেস লুত্ফা তাহের (নেত্রকোনা-৫), আফজাল হোসেন খান জকি (মানিকগঞ্জ-১), জায়েদ কবীর (নরসিংদী-২), খাদেমুল ইসলাম খুদী (গাইবান্ধা-৩), সবেদ আলী (চুয়াডাঙ্গা-১), রোকনুজ্জামান রোকন (কুষ্টিয়া-৪), শরীফুল কবির স্বপন (কুষ্টিয়া-১), সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু (ময়মনসিংহ-৬), শহিদুল ইসলাম (ঢাকা-৫), মীর হোসাইন আখতার (ঢাকা-১৭), সাজ্জাদ হোসেন (বরিশাল-২), নুরুল আকতার (ঢাকা-১৪), রবিউল ইসলাম (যশোর-৪), ইকবাল হোসেন খান (মানিকগঞ্জ-৩), আবদুল মতিন মিয়া (রাজবাড়ী-২), মোশাররফ হোসেন (লক্ষ্মীপুর-৪), কুমারেশ রায় (রংপুর-২), ডা. একরামুল হক (গাইবান্ধা-৫), ডি এম আলম (নাটোর-৪), অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৯), ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন (নাটোর-১), শেখ ওয়াবদুস সুলতান বাবলু (সাতক্ষীরা-১) অধ্যক্ষ আশেক এলাহী (সাতক্ষীরা-৪), সাদেকুল ইসলাম (লালমনিরহাট-১), জসিম উদ্দিন বাবুল (চট্টগ্রাম-১১), আহসানুল কবির বাদল (পিরোজপুর-১), আবদুল হাই তালুকদার (সিরাজগঞ্জ-১), আবুল খায়ের সাখাওয়াত হোসেন (জয়পুরহাট-২), কবির হোসেন (সুনামগঞ্জ-১), শ ম মালেক (শরীয়তপুর-১), নাইমুল হক চৌধুরী (কক্সবাজার-৩), আ ফ ম মফিজুর রহমান (চট্টগ্রাম-৪), এমদাদুল হক অথবা এ বি এম জাকিরুল হক টিটন (বগুড়া-৬), আইয়ুব আলী খান (সিরাজগঞ্জ-৫), শফিকুজ্জামান (সিরাজগঞ্জ-৬), গোলাম পাশা এলিচ (নীলফামারী-৩), জাহিদ আলম (মাগুরা-১), এ বি এম জাহাঙ্গীর হোসেন রাঙা (নড়াইল-১), আবদুর রশিদ (যশোর-২), মনিরুল ইসলাম লিটন (শেরপুর-১), কে এম সামেদুল হক (শেরপুর-২), রতন সরকার (ময়মনসিংহ-৭), মনিরুজ্জামান মনির (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), লোকমান আহমেদ (সিলেট-৬), আবদুর রউফ (হবিগঞ্জ-১), মনির হোসেন মজুমদার (চাঁদপুর-৫), শফিউর রহমান শফি (রাজশাহী-৬), হারুন অর রশিদ সুমন (নোয়াখালী-১), নুরুন্নবী (ঢাকা-১৬), হাজী ইদ্রিস বেপারি (ঢাকা-৭), অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমনা শওকত (ঢাকা-৪), নাদের চৌধুরী (ঢাকা-১৩)। তরিকত ফেডারেশনের চাহিদা বর্তমান সংসদের দুজনই। তারা হলেন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (চট্টগ্রাম-২) ও লায়ন এম এ আউয়াল (লক্ষ্মীপুর-১)। জানা গেছে, জাসদ (আম্বিয়া) আওয়ামী লীগের কাছে চাইবে আটটি আসন। তাদের চাহিদা নাজমুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১), আবদুস সাত্তার (রংপুর-২), গোলাম মোস্তাফা (বগুড়া-৪), শরীফ নুরুল আম্বিয়া-(নড়াইল-১ সদর আসন), মাঈনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৭), অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম (কুষ্টিয়া-২), মো. মহসিন (বরিশাল-৬), আবুল কালাম আজাদ বাদল (বরিশাল-২)। জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা জোটের কাছে আটটি আসন চাইব। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একটি সূত্র জানায়, দলটির পক্ষ থেকে ১৫ জনের একটি তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তাদের চাহিদা রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুত্ফুল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), ইয়াসিন আলী (ঠাকুরগাঁও-৩), শেখ হাফিজুর রহমান (নড়াইল-২), টিপু সুলতান (বরিশাল-৩), ইকবাল কবির জাহিদ (যশোর-৪), নুর আহমেদ বকুল (মেহেরপুর-২), জহিরুল ইসলাম টুটুল অথবা রফিকুল ইসলাম সুজন (বরিশাল-২), আবদুল হক (দিনাজপুর-১), সিরাজুল ইসলাম শেখ (চুয়াডাঙ্গা-২), মামুন অর রশিদ (চুয়াডাঙ্গা-২), ইমরান হোসেন চৌধুরী (ঠাকুরগাঁও-১), আবু হানিফ (চট্টগ্রাম-৯), দিদারুল আলম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৪), ইব্রাহিম খলিল (নাটোর-১), মিজানুর রহমান মিজান (নাটোর-২ অথবা নাটোর-৩), অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন (নাটোর-৪), মো. করম আলী (ঢাকা-১), নজরুল ইসলাম হাক্কানী (রংপুর-৪), আমিনুল ইসলাম গোলাপ (গাইবান্ধা-৩), মিনা মিজানুর রহমান (খুলনা-৩), গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় (খুলনা-১), শেখ শহিদুর রহমান (খুলনা-৪), শেখ সেলিম আকতার স্বপন (খুলনা-৫), নজরুল ইসলাম (পাবনা-১)। গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। এ জন্য জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের কাছে আমাদের প্রার্থী তালিকা তুলে দেওয়া হবে। আমরা চাই সঠিক জায়গায় সঠিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। ১৪-দলীয় জোটকে ক্ষমতায় আনাই প্রধান লক্ষ্য। গণতন্ত্রী পার্টির চাহিদা ডা. অধ্যাপক শহিদুল্লাহ শিকদার (গাজীপুর-৪), শাহাদাৎ হোসেন (কুমিল্লা-চৌদ্দগ্রাম), অ্যাডভোকেট দোলন ভৌমিক (কিশোরগঞ্জ সদর), অ্যাডভোকেট জহুরুল হক (কুষ্টিয়া সদর), মাহমুদুর রহমান (সূত্রাপুর), নুরুর রহমান সেলিম (ঢাকা-৯), ব্যারিস্টার আরস আলী (সিলেট সদর), মো. আফজাল (রংপুর-সদর), খায়রুল আলম (পাবনা-চাটমোহর), সরাফত আলী হিরা (ঢাকা-৭), কানন আরা (নোয়াখালী বেগমগঞ্জ), রইসুল হক মাসুম (কুমারখালী), গুলজার আহমেদ (দিরাই-সাল্লা)। এবারের সংসদে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি-জেপির দুজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শুধু আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জোটের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। অন্যজন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হন। এবার দলটির পক্ষ থেকে অন্তত ২০টি আসন দাবি করা হবে। জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জোটের আসন নিয়ে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেখানে ভালো প্রার্থী হবে সেখানে সবাই ছাড় দিয়ে জোটকে ক্ষমতায় আনব। জাতীয় পার্টি-জেপির চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থী হচ্ছে, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (পিরোজপুর-২), শেখ শহিদুল ইসলাম (মাদারীপুর-৩), শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী (শেরপুর-১ সদর), এ এইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ (কক্সবাজার-১), আবদুল আলীম (নেত্রকোনা-৩), আবদুল মজিদ পিন্টু (বগুড়া-৭), শাহ ফজলে করিম পল্লব (গাইবান্ধা-৩), রুহুল আমিন (কুড়িগ্রাম-৪), প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক (কুড়িগ্রাম-৪), কাজী জাহাঙ্গীর আমির (কুমিল্লা-৩), শরিফ শফিকুল হামিদ চন্দন (খুলনা-৩), জামিনুল হক বকুল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), সাদেক সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৫ সদর), আবদুল আজিজ বাঙাল (টাঙ্গাইল-২), অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বকুল (ফরিদপুর-২), আশরাফুল ইসলাম (পঞ্চগড়-১)। গত নির্বাচনে পাঁচটি আসন দাবি করেছিল ১৪ দলের আরেক শরিক ন্যাপ। কিন্তু একটিতেও তারা মনোনয়ন পায়নি। বর্তমান সংসদে তাদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের একজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে দলটি পাঁচটি আসন দাবি করতে পারে। এদের মধ্যে আমিনা আহমেদ (কুমিল্লা-৪), কাজী লুত্ফর রহমান চৌধুরী (দিনাজপুর-৬), আবদুল মতিন মাস্টার (ময়মনসিংহ-৩), বাপন দাসগুপ্ত (চট্টগ্রাম-৮), মোহাম্মদ আলী ফিরোজ (কুমিল্লা-৬), আবদুর রশিদ সরকার (ঢাকা-৫), অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ (নাটোর-৪), মো. সুরুজ্জামান (জামালপুর-১), মাহমুদুর রহমান কাজী মোকলেছ (মাদারীপুর-৩), আবদুল ওয়াদুদ (সুনামগঞ্জ-৫), ডা. আশিক কুমার শীল (চট্টগ্রাম-১৬), ইলিয়াস আহমেদ বিপ্লব (কুষ্টিয়া-৩)। সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল গত নির্বাচনে তিনটি আসন দাবি করেছিল। কিন্তু একটিতেও জোটের মনোনয়ন পায়নি দলটি। এবার তারা পাঁচটি আসনে মনোনয়ন চাইবে। কমিউনিস্ট কেন্দ্র গত নির্বাচনে তিনটি আসন চেয়েছিল কিন্তু একটিতেও জোটের মনোনয়ন পায়নি। এবারও তারা ঢাকা, টাঙ্গাইল অথবা গোপালগঞ্জ জেলা থেকে দুটি আসন দাবি করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান।