কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ধর্ষণের শিকার ওই নারী এক সন্তানের জননী ও সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নুরুল হক লিটন নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এ ঘটনায় জড়িত অপর দুইজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলার মক্রবপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তিন লম্পট।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের মেরকোট গ্রামের ওই গৃহবধূ ১০ দিন আগে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মক্রবপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত শনিবার ওই নারীর মা এবং পরিবারের অপর সদস্যরা তাকে বাড়িতে রেখে পাশের পরকরা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে মক্রবপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে নুরুল হক লিটনসহ তিন লম্পট গত শনিবার রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরদিন রোববার সকালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মা বাড়িতে ফিরলে নির্যাতিতা তাকে ঘটনাটি জানান। এরপর ওইদিন বিকেলে থানায় গিয়ে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা নিজেই।
নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে নুরুল হক লিটনকে গ্রেপ্তার করি। এ ছাড়া অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে গ্রেপ্তার ও তদন্তের স্বার্থে অপর দুই আসামির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।