একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তীর সংসারে ভাঙানের সুর বাজছে। গত ৭ মে স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এর প্রেক্ষিতে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেছেন শ্রাবন্তী।
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রাবন্তীর। এই দম্পতির ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ৭ আর ছোট মেয়ের সাড়ে ৩ বছর।
জানা গেছে, শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। গত ২৫ জুন তিনি দেশে ফিরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই স্বামীর পাঠানো তালাকের এই নোটিশের খবর পেয়েছেন তিনি। এরপর দ্রুত দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে এসেছেন।
তালাকনামা ও মামলা সম্পর্কে শ্রাবন্তীর স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমে বলেন, ‘ডিভোর্স পেপার পাঠানো তথ্য সত্যি।
তবে আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কি-না এখনও জানি না। ’
গণমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভেতরে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে। যেটা একসঙ্গে থাকলে আরও ধ্বংস হবে। আরও খারাপ দিকে যাবে বলে আমি মনে করছি। সরে আসাই দুজনের জন্য ভালো হবে। ’
এর আগে, গত শনিবার শ্রাবন্তী নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কেন এমন করছ? দাও না আমাদের মাফ করে। এক ঘর দরকার নাই, কিন্তু এক ছাদের নিচে থাকি আমরা। বাচ্চাদের প্রতি একটু দয়া করো। ’ ওই স্ট্যাটাসে শ্রাবন্তী আরও লিখেছনে, ‘তুমি তো প্রতিজ্ঞা করেছিলে, কখনও ছেড়ে যাবে না। এখন কেন ছেড়ে গেছ? আমাদের বাচ্চাদের ভাঙা পরিবারে বড় হতে দিয়ো না। আমি তোমার কাছে হাত জোড় করে বলছি, আমাদের বাচ্চাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিয়ো না।