ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশন ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ শুক্রবার বিকেলে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সিলেটে বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমএ মতিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
একই সভায় দশটি ইউনিয়ন, তিনটি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে আগামী ৩০ জুলাই। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ ও ২ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৯ জুলাই।
এদিকে গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি শূন্য হয়। কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর উপজেলা একটি ও চিলমারীর ২টি ইউনিয়ন বাদে) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হবে আগামী ২৫ জুলাই। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ জুন। ২৬ জুন মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে, আগামী ৩ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
জানা গেছে, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আটজন। বুধবার পর্যন্ত বরিশালের পাঁচজন, সিলেটের দুজন ও রাজশাহীর একজন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
রাজশাহী থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
বরিশাল সিটির মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি খান আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সহসভাপতি মীর আমিন উদ্দিন ও সদস্য মাহমুদুল হক খান। এর মধ্যে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর।