লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের রয়েল হসপিটালে চিকিৎসকের অবহেলায় মরিয়ম বেগম নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় কোন অভিযোগ না করলেও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও ভাংচুরের চেষ্টা চালিয়েছে স্বজনরা।
আজ রবিবার (১৭ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের মালিক ও অভিযুক্ত চিকিৎসক সোলেমানসহ অন্যরা পলাতক অবস্থায় আছে। নিহত মরিয়ম স্থানীয় পাঁচ পাড়া গ্রামের সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী।
বিক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রসবকালীন যন্ত্রণায় শনিবার রাত ৩টার দিকে মরিয়মকে রয়েল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক সোলেমান রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করান। সন্তান জম্মের পর প্রসূতির অবস্থার অবনতি ঘটে। কিছু বুঝে উঠার আগেই রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দাবী করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। রোগীর নিশ্চলতায় মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হন স্বজনরা। পরে তারা চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন।
ঘটনার বিচার দাবী করে বিক্ষোভসহ উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুরে চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধরা। এসময় তারা হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেয়। ঘন্টাব্যাপী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জাফর আহমদ বলেন, কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে।