প্রথমবারের মতো রেলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে ভারত। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ন্যাশনাল রেল ট্রান্সপোর্ট ইউনিভার্সিটি।
এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তার পদে যোগ দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
রেলে উন্নতমানের আধুনিক প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ এই প্রযুক্তির ব্যবহারে কোনওরকম শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়ে ওঠেনি। নেই সিলেবাসও। ফলে প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের জ্ঞান সঞ্চয় করতে ছুটতে হচ্ছে বিদেশে। অত্যন্ত ব্যয়বহুলও সেই শিক্ষা। অথচ ভারতে রেলের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে গুজরাটের বরোদাতে। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েতে ইউপিএসসি থেকে পাশ করে আসা অফিসারদের প্রশিক্ষণ হয় সেখানে। সেখানে তাঁরা ফাউন্ডেশন কোর্স, ইন্ডাকশান কোর্স ও প্রফেশনাল কোর্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।
সঙ্গে চলে ফিল্ডওয়ার্ক।
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কথা চিন্তা করেন। ২০১৪ সালের বাজেটে এই বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রকল্প নেওয়া হয়। বরোদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে রেল তৈরি করে ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এরপর ওই কমিটির তত্ত্বাধানে গঠিত হয় ন্যাশনাল রেল ট্রান্সপোর্ট ইউনিভার্সিটি। ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেস-এর ডিন অফ স্ট্যাডি ডঃ প্রমোদ সিনহাকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আগামী আগস্টেই শুরু হবে পঠনপাঠন। ৮০টি সিট রয়েছে।
বিবিও ও বিএসসি কোর্স দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা এই কোর্সের আবেদন করতে পারবেন। আগামী আগস্টে প্রথম কোর্সের জন্য ৩৫০০ আবেদন এসেছে বলে জানা গিয়েছে। রেলে দেশে ৩০০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে এই ন্যাশনাল রেল ট্রান্সপোর্ট ইউনিভাসির্টির আওতায় আনা হয়েছে। তবে, এই কোর্স করতে কেমন খরচ হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া সংক্রান্ত কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তাও নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার বা ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।