অসুস্থ মাকে দেখে সাতকানিয়া থেকে ভাটিয়ারীর বাসায় ফিরছিলেন হাসিনা আকতার। সাথে ছিল তার ছয় বছরের সন্তান ইমরান হোসেন।
নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় বাস থেকে নেমে ফের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাতক ট্রাক তেড়ে আসে তাদের দিকে। তিনি উপায়ন্ত না দেখে ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে দুরে ফেলে দেন। নিজে ট্রাক চাপা পড়ে চলে যান পরকালে।
শুক্রবার নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় ট্রাক চাপায় নিহত চার জনের একজন হাসিনা আকতার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহত শিশু ইমরান মায়ের কল্যানে জীবন রক্ষা পেলেও এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। সে মাথা, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছে। ডান হাত ভেঙে গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
একই ঘটনায় আহত চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিদওয়ান বলেন, আমরা বাস থেকে নেমে নিউমার্কেটগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার পাশেই দাড়ানো ছিলেন নিহত ওই নারী (হাসিনা আকতার)। সন্তানকে আগলেই রেখেছিলেন। হঠাৎ বেপরোয়া ট্রাকটি সামনে চলে আসে। এ সময় তিনি সন্তানকে ধাক্কা দিয়ে প্রাণে রক্ষা করেন। কিন্তু নিজে বাঁচতে পারলেন না।
নিহত হাসিনার আরেক সন্তান সায়েদ হোসেন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া। বৃহস্পতিবার তার মা অসুস্থ নানীকে দেখতে গ্রামের বাড়িতে যান। শুক্রবার তাদের ভাটিয়ারির বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তার মা।