হলে ফেরার সময় হলের পাশেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের দক্ষিণ পাশে রীতা পরিবহনের এক চালকের কাছে ওই ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং খালেদা জিয়া হলে থাকেন। যৌন হয়রানীকানির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে সে রিকশার নম্বর জানাতে পারেনি। যদিও সে আমাদেরকে জানিয়েছে রিকশাটি ছিল রীতা পরিবহনের। আমি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে ওই রিকশার খোঁজ নিতে বলেছি। তারা আমাদেরকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সেই রিকশা চালককে খোঁজে বের করা যাবে। আর চালককে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
’
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘শনিবার বিকেল ৬ টা ২০ মিনিটের দিকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবন থেকে খালেদা জিয়া হলের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় চারুকলার পথ হয়ে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে একটি অটোরিকশা খালেদা জিয়া হলের দিকে আসছিল। অটোরিকশা বেপরোয়াভাবে আসছিল ভেবে আমি রাস্তার কিনারা ঘেষে হাঁটছিলাম। অটো রিকশাটা খালেদা জিয়া হলের পাশে যেখানে সকাল বেলা কাঁচাবাজারে দোকান বসে সেখানে আমার কাছাকাছি পৌঁছলে চালক রিকশা থেকে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে। আমি নিজেকে সেভ করার চেষ্টা করলে গাড়ির চালক আমার গালে ও পিঠে কষে থাপ্পর মেরে অটো রিকশা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
নগরীরর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহবুব আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রোভিসি স্যার আমাকে লিখিত অভিযোগটি দিয়েছেন। সেই চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এসে যারা এ ধরনের ঘটনার ঘটাচ্ছে তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না। অপরাধকে শনাক্ত করতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়েও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের এডিশনাল ডিপুটি কমিশনার মো. হাতেম আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা পেলে চালককে খুঁজে বের করা সহজ হবে। আশা করছি সেটা দ্রুত সম্ভব হবে।