বর্তমানে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম-খুন মূলত বিরোধী দল নিধনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার ধুমধাম চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বেআইনিভাবে মানুষ হত্যা ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৪সালের ৫ জানুয়ারির মতো সরকার আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। তাই ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার জন্যই জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে মাদকের গডফাদারদের তালিকা প্রকাশ হলেও তাদের ধরা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে কোনো দিন মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দশ্য আছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে দেশজুড়ে জোরেশোরে মানুষ খুন চলছে। তিনি বলেন, আমরাও চাই দেশ থেকে মাদক নির্মূল হোক। মাদকের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। কিন্তু বিচারবহির্ভূতভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা নয়। বৃহস্পতিবার রাতেও মাদক নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনা সত্ত্বেও বিচারবহির্ভূত হত্যা থামছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বিগত নয় বছর ধরে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে আসছে যে, তারা ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে যাচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বালতি পানিও আনতে পারেননি আট বছরে। কিন্তু বছর যায় বছর আসে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে পাচ্ছে না। এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে সার্বভৌমত্বকে ক্ষয়িষ্ণু করে ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন, বিনিময়ে কিছুই পাননি। শুধুমাত্র পরদেশের কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছেন শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা।