ঢাকা: সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ে শুধু এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন) অংশের ‘খ’ সেট প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তবে সৃজনশীল অংশের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে। তবে কমিটি ২০ লাখ পরীক্ষার্থীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পুনরায় পরীক্ষা না নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরেন। একই সঙ্গে লিখিতভাবেও প্রতিবেদনের তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ক্লোজ গ্রুপে এই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। এই গ্রুপের মাধ্যমে বড় জোর চার থেকে পাঁচ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে প্রশ্ন পেয়ে থাকতে পারে। এই জন্য কমিটি ২০ লাখ পরীক্ষার্থীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা না নেওয়ার সুপারিশ করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০ লাখ ছেলে মেয়েকে আবার পরীক্ষা নিয়ে বিড়ম্বনায় ফেলতে চাই না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্তভাবে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। ক্লোজ গ্রুপের মাধ্যমে নগণ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে বা কাছাকাছি সময়ে প্রশ্ন পেয়েছে। এই ধরনের ক্লোজ গ্রুপের একেকটিতে ১০ থেকে ১০০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়। ফলে ১৫-২০ মিনিটি আগে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও এতে সামগ্রিকভাবে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে মোট চার সেট প্রশ্ন থাকে। এমসিকিউ অংশের মোট নম্বর ৩০।
গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় এবার একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গত মার্চ মাসেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রথম আলোতে তখনই এ বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়। আজ শিক্ষামন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করলেন।