‘খালি কাম না, জীবনের ঝুঁকি নিয়া সাগরে দিনরাইত খাডি, হেরপরও পাইনা ঘামের দাম। মোগো কপালেই আছে মাছ ধরা আর পানিতে ডুইব্যা মরা।’ দিনরাত খেটে খাওয়ার আক্ষেপের কথা বললেন চরলাঠিমারা গ্রামের জেলে শ্রমিক আ. আউয়াল সরদার।
জেলে পলী উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের আউয়ালের মতো আ. ছত্তার আকন, চান মিয়া সরদার, জুলহাস মীরসহ একাধিক জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের যুদ্ধ কখনো প্রকৃতির সঙ্গে, কখনো দস্যুদের সঙ্গে। আবার কখনো নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ। সব সমস্যা মোকাবেলার পর তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনটা বড় হয়ে দেখা দেয়। আর তাই বহুমুখী প্রতিবন্ধকার মুখে পড়তে হয় প্রায় সারাটা মৌসুম। এতো কিছুর পরও জেলে পলীর জেলে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
ট্রলারের মাঝি মো.জাকির হোসেন মীর বলেন, ছোট থেকেই মাছ ধরি। ২৫ বছর ধরে মাঝি হিসেবে কাজ করেও ভাগ্য বদলায় নাই। ঘামের দামও পাইনা। দাদন আর ঋণের জালতো আছেই। তিনি আরও বলেন, দিনরাত কাজ করেও দেখা গেছে ২শ’ টাকাও পায়না একজন জেলে।
তিনি জানান বিষখালী, বলেশ্বর নদ ও বঙ্গোপসাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু ভাগ্য তার দিকে ফিরে তাকায়নি। তাই ঘুরেনি জীবনের চাকাও। জীবন চলেছে তার নিয়মেই। বংশ পরম্পরায় জেলেরা এ কাজ করছে।