গাজীপুর অফিস: গাসিক নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন যাচাই করতে প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। গনমাধ্যমের একটি সহায়ক অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যারা মনোনয়ন দিবেন তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে এখন অসংখ্য পোষ্ট দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে। আর নানা ধরণের মন্তব্যও হচ্ছে। স্ব স্ব কর্মী সমর্থকেরা নিজের প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন সময় পোষ্ট দিয়েও চলছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সকল প্রার্থীরাই নিজস্ব কর্মী সমর্থকের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শন করতে ব্যস্ত। কর্মীরা তাদের পছন্দনীয় প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন প্রাপ্তী সংক্রান্ত পোষ্ট দিচ্ছেন। আবার প্রার্থীর নানা গুনাবলীও প্রকাশ করছেন। তথ্য রয়েছে, প্রার্থীরা মাসিক বেতনে এমন কর্মীদেরও রাখছেন যারা তাদের গুনগান করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই বেতনভুক্ত কর্মীর মধ্যে রয়েছেন একাধিক সাংবাদিক বা সাংবাদিক পরিচয়ধারী কতিপয় লোক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক পরিচয়সহ আইডি খোলে প্রার্থীদের প্রচারণা চালোনো হচ্ছে। যে কোন তথ্য সাধারণ ভোটার যেন সহজেই বিশ্বাস করে সেজন্য তথ্যদাতা সাংবাদিক হলে সুবিধা হয় তাই প্রার্থীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর উপর জোর দিচ্ছেন।
সন্ধান করে দেখা গেছে, অনেক লোক সকালে বলছেন একজন মনোনয়ন পেয়েছেন বিকালে আবার মনোনয় পরিবর্তন করে অন্য জনকে দিচ্ছেন। এমন উদাহরণ অহরহ। তবে এই সংখ্যাটা কম।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, কে কি বললেন সেটা নয়। সময় হলেই দেখা যাবে। কোন দল কখন মনোনয়ন দেয় তা ভোটাররা ভাল করেই জানেন। তাই অপপ্রচার করা যায় কিন্তু ভোটারার তা বিশ্বাস করে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অপপচার করা ঝুঁকিপূর্ন। কারণ যে কোন অপপ্রচারে অসাবধানতাবশত যে কোন দূর্ঘটনাও হতে পারে। তাই অপপ্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। প্রয়োজনে আইনের প্রয়োগ করে সরকার এই কাজটি করতে পারেন। এতে নির্বাচন শান্তিপূর্ন হতে সহায়তা হবে। একই সঙ্গে ভোটাররার বিভ্রান্ত হতে রক্ষা পাবে।