মাত্র কদিন আগেও যে দুই নেতা একে অপরকে উন্মাদ, কীট অথবা পাগলা কুকুর বলে সম্বোধন করেছিলেন তাদের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনার মাঝে এখন নানা প্রশ্নও উঠছে।
তার একটি হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কিম জং আন কবে আলোচনায় বসছেন। এই অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের আর জটিল সাক্ষাত নিয়ে এখন ভীষণ ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসের কর্মী আর উপদেষ্টারা।
তবে দিনক্ষণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স। বরং কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে।
সারা স্যান্ডার্স বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি উত্তর কোরিয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত এই আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন না।
সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ বলতে এখানে আসলে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে ইঙ্গিত করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স আরো বলেন যে এর ফলে যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে তা হবে খুবই বড় ব্যাপার।
আর তা হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের গুণেই, যেমনটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন।
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে কোণঠাসা করে রাখার যে কৌশল নিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার আলোচনায় বসতে চাওয়ায় এটাই প্রমাণ হলো যে মার্কিন কৌশল কাজে দিয়েছে।
কোণঠাসা করে চাপ প্রয়োগের ফলেই পিয়ং ইয়ং-এর এমন মনোভাব বলে দাবি করেন পেন্স।
তবে সারাক্ষণ বিতর্কের জন্ম দেয়া এই দুই নেতা শেষমেশ মে মাস পর্যন্ত তাদের আলোচনার প্রতিশ্রুতি কতটা রাখবেন সে নিয়েও সন্দেহ তুলেছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা।