সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার সন্নিকটে মোল্লাপুরের লাসাইতলায় নিমাত্রা শাহ (রহ.) মাজারের বার্ষিক ওরস আয়োজন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজনার জেরে মাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের এ আদেশ জারির পর এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।
জানা যায়, উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের লাসাইতলায় (কদুগঞ্জ) হযরত নিমাত্রা শাহ (রহঃ) মাজারে প্রতিবছর শীত মৌসুমে দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ওরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপসহ মদ, জোয়া ও নারীনৃত্য পরিচালনা করা হয়। এবারও মাজারের খাদেম সাহাব উদ্দিন ওরসের উদ্যোগ নিলে এলাকাবাসী বাঁধা দেন। তাতেও কাজ না হলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে মাজারের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ নিয়ে দু’পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে ওরস বন্ধে মোল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকবর হোসেনসহ লাসাইতলা গ্রামের ৬৪জন ব্যক্তি ও মাজারের প্রকৃত মালিকগণ গত ৭ জানুয়ারি ওরস বন্ধের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথকভাবে তিনটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে লাসাইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় ওরসস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ওই এলাকায় ওরস কিংবা যেকোন ধরণের অনুষ্ঠান (৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি) না করার জন্য বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সী ফৌজধারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন।
লিখিত এ আদেশ বিক্ষুব্ধ আব্দুল আজিজ কালা ও সাহাব উদ্দিন এ দু’পক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এ আদেশ জারির পর থেকে এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।
এদিকে ওরস বন্ধ হওয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর হোসেন সংবাদপত্র ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সী বলেন, একই স্থানে দু’পক্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় মাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি। তিনি বলেন, প্রশাসনের আদেশ দু’পক্ষ মেনে নেওয়ায় সেখানে উত্তেজনার পরিবর্তে শান্তি ফিরে এসেছে।