‘অতিরিক্ত ঘুমে হারাবেন স্মৃতিশক্তি’

Slider লাইফস্টাইল

Sleeping

 

 

 

 

 

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেই ঘুম কতটুকু? এ নিয়ে আছে মতবিরোধ। সাধারণত শিশুদের ঘুম একটু বেশি দরকার হয়। বড়দের কম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দৈনিক অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এটা ক্ষেত্রবিশেষ দু’এক ঘণ্টা বেশি হতে পারে। তবে সেই বেশিটা যেন অতিরিক্ত হয়ে না যায়। কম ঘুম যেমন শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বেশি ঘুমও তার ব্যতিক্রম নয়। গবেষণা বলছে, একটানা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুম অকেজো করে দিতে পারে স্মৃতিশক্তি।

একটু বয়স্ক মানুষেরা অনেকটা সময় ঘুমিয়ে পার করেন। বিশেষ করে, রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ার একটা তাগিদও দেখা যায়। আর সকালে কাজে যাবার ব্যস্ততা না থাকলে হয়ত একটু বেলা করে উঠছেন ঘুম থেকে। অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখলে কেউই তা অস্বাভাবিক মনে করবেন না হয়ত।

কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ ঘুমানোর এই প্যাটার্নই হতে পারে অ্যালঝেইমার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। আক্রান্ত হতে পারেন ‘ভুলে যাওয়া’ রোগে।

গবেষণায় জানা গেছে, রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমাচ্ছেন এমন ব্যক্তি, যারা আগে এর চেয়ে কম ঘুমাতেন, অন্যদের তুলনায় তাদের অ্যালঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবার শঙ্কা দ্বিগুণ থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে এমন ফলাফলে উপনীত হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঘুমের ভেতরে মানুষের স্মৃতি তৈরি হয়, বিশেষ করে হালকা ঘুমের সময়। কিন্তু একটানা দীর্ঘ ঘুম এক্ষেত্রে সে প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেয়। অর্থাৎ, আপনি শরীর ও মনের বিশ্রাম দিতে ঘুমাবেন, কিন্তু সেই ঘুমটা যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায় তবে ঘুমিয়ে পড়বে আপনার স্মৃতিশক্তিও।

অ্যালঝেইমার কী:
ডিমেনশিয়া (Dementia) হল এক ধরনের মস্তিষ্কের ব্যাধি যা স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। অ্যালঝেইমার ডিজিজ হলো ডিমেনশিয়ার একটি সাধারণ রূপ। এই সমস্যা তীব্র অবস্থায় চলে গেলে এটি রোগীকে তার দৈনন্দিন কাজ করতে, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনকে চিনতে এবং কোনো কথা বুঝতে বাধা দেয়। এটি একটি মারাত্নক রোগ যা সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। এই রোগের চিকিৎসা খুবই সীমিত, তবে প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধের সাহায্যে এর চিকিৎসা করা হলে তা অত্যন্ত কার্যকর হয়। এ রোগ বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের অ্যালঝেইমার রোগ, দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ এবং কোনো ধরনের মানসিক আঘাত পাওয়ার ঘটনা থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *