এম এ কাহার বকুল ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি;
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ১০ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী রওনত জাহান রানু। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলের পরিবার বাড়ীর মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন। আর স্কুল ছাত্রীটি কনকনে শীত উপেক্ষা করে গেটের বাহিরে বিয়ের দাবীতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী মদনপুর কদমতলা নামক স্থানে।
জানাগেছে, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের কাদের আলী মাষ্টারের মেয়ে নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী রওনত জাহান এর সাথে নামুড়ী কদমতলা গ্রামের জয়নাল আবেদিন কবিরাজের ছেলে আসাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের জের ধরে আসাদ বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেত। আর কৌশলে জোরপূর্বক মেয়েটির সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এদিকে আসাদ একটি বেসরকারী এনজিও ব্র্যাকে চাকুরী করার সুবাধে নীলফামারীতে মেয়েটি বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। আর সেখানেই তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর স্বামী- স্ত্রী হিসেবে সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
তবে আসাদকে তার বাবা মা ৪ মাস পূর্বে জোরপূর্বক কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা নামক স্থানে অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দেন।
আর বিষয়টি ঐ স্কুল ছাত্রী জানার পর ৪ জানুয়ারী সকাল থেকে বিয়ে এবং স্বামীর দাবীতে ছেলের বাড়ীতে অনশন শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলে আসাদ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ীর মূল গেটে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। আর মেয়েটি অনশন চালিয়েই যাচ্ছেন। এদিকে সকাল থেকে উৎসুক জনতা ছেলের বাড়ীতে ভীড় জমিয়েছেন। আবার একটি প্রভাবশালী মহল মেয়েটিকে কৌশলে ছেলের বাড়ী থেকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মোঃ লাবু মিয়া (আসাদের চাচাতো ভাই) তিনি মেয়েটিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে বাধা দেন।
অনশনরত স্কুল ছাত্রী রওনত জাহান রানু জানান, স্বামীর দাবী মেনে না নেয়া পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন। এসময় তিনি দাবী করেন, আসাদ সবকিছু কেড়ে নেয়ার পরও যদি তাকে স্বামী হিসেবে না পাই, তাহলে আত্নহত্যা ছাড়া আমার আর কোন পথ থাকবে না।
আসাদকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ এবং তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত আসাদ মেয়েটির সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর তারা দুজন স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাসও করেন।
পলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্ককে আমি শুনেছি এবং সেখানে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হরেশ্বর রায় বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করে নাই।