ঈমান, ঐক্য ও শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মঙ্গলবার ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। তবে সকাল থেকেই মিলনায়তনে প্রবেশের দরজা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মিলনায়তনের বাইরে খোলা চত্বরে সমাবেশ শুরু করে ছাত্রদল।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সোয়া ৫টার দিকে মিলনায়তনের দরজা খুলে দেয় পুলিশ। এর পরই খালেদা জিয়া ভেতরে প্রবেশ করেন এবং আলোচনা সভা শুরু হয়।
সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন- বিএনপি নির্বাচনী দল। নির্বাচন আমরা করবই। বাইরে চাইলেই রাখা যাবে না। আমরা নির্বাচন করব। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, হাসিনার অধীনে না।
তিনি বলেন- দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার নেই। যারা ক্ষমতায় আছে তার অবৈধ। আজকে দেশে আইনের শাসন নেই। জনগণের কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র নেই। দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। ফলে দেশ আজ অচল। কোনো কিছুই ঠিকভাবে চলছে না।
খালেদা জিয়া বলেন- আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। গুম, নির্যাতন করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং মানুষের জান-মালের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
তিনি আরো বলেন- আওয়ামী লীগকে জনগণ বিশ্বাস করে না। তাই তারা কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। কারো ঘাড়ে ভর দিয়ে, ফাল দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। সেজন্য তাদের ভয়। তারা বিএনপিকে ভয় পায়। কারণ বিএনপি সব সময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে।
ছাত্রদলের নেতৃবন্দকে তিনি বলেন- তোমাদেরকে আরো সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলে যাকে যেখানে দায়িত্ব দেয়া হবে তা সুন্দরভাবে পালন করতে হবে। তিনটি জিনিস তোমাদের মনে রাখতে হবে। যা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই, আমাদের মধ্যে আছে। তিনটি জিনিস খুবই জরুরি। ঈমানও ঠিক রাখতে হবে। শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে। আর ঐক্য ঠিক রাখতে হবে। তাহলে সবকিছু জয় করা সম্ভব হবে।
ছাত্রদলকে স্লোগানের ধারা পরিবর্তন করে জনমানুষের স্বার্থে স্লোগান দেয়ারও আহ্বান জানান।