সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথমবারের মতো ভ্যাট চালু করেছে। দেশ দুটিতে অধিকাংশ পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে এখন থেকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকরী হবে।উপসাগরীয় দেশ দুটি বিদেশী শ্রমিকদের পছন্দের তালিকায় আছে কারণ এখানে বসবাসের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কর দিতে হয় না।
কিন্তু তেলের দাম কমে যাবার কারণে দেশ দুটি অন্যান্য সূত্র থেকে তাদের আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে দেশ দুটিতে ভ্যাট কার্যকরী হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত বলছে চলতি বছরে ভ্যাট থেকে তাদের আয় হবে ৩৩০ কোটি ডলার।
পেট্রোল, ডিজেল, খাদ্য, বস্ত্র, নানা ধরনের বিল এবং হোটেল রুমের উপর ভ্যাট কার্যকরী হয়েছে।কিন্তু চিকিৎসা সেবা, আর্থিক সেবা এবং পাবলিক যানবাহনের ভাড়ার ক্ষেত্রে কোন ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। তেল বিক্রি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল দীর্ঘ দিন ধরেই উপসাগরীয় দেশগুলোকে পরামর্শ দিয়ে আসছে।
সৌদি আরবে মোট বাজেটের ৯০ শতাংশের বেশি আসে তেল বিক্রি থেকে।অন্যদিকে এ খাত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয় ৮০ শতাংশের মতো। সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য উভয় দেশ এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সৌদি আরব এরই মধ্যে সিগারেট এবং কোমল পানীয়ের উপর কর আরোপ করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্র যেসব ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয় সেগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে কমিয়ে এনেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাস্তা ব্যবহারের উপর কর বাড়ানো হয়েছে এবং পর্যটনের উপর নতুন করে কর আরোপ করা হয়েছে। তবে আয়কর চালুর কোন উদ্যোগ দেশটিতে নেই। উপসাগরীয় অন্যান্য দেশ – বাহরাইন, কুয়েত, ওমান এবং কাতার ভ্যাট চালু করবে বলে জানিয়েছে।তবে কোন কোন দেশ ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ পরিকল্পনা স্থগিত করেছে।