অসম্ভব ইসরায়েল বনাম অযোগ্য আরব

Slider সারাবিশ্ব
 d1080c7ab38ff9d8554a0519c226b07b-5a2e1b15ee7b3

ঢাকা: একজন ফিলিস্তিনির সম্ভবত আরেকজন ফিলিস্তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। ছবি: রয়টার্সআমি একজন ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনিদের কি চোখ নেই? নেই হাত, অঙ্গ, ভাব, অনুভূতি, বোধ ও ভালোবাসা? তুমি-আমি একই খাবার খাই, আহত হই একই অস্ত্রে। একই অসুখে আমরা ভুগি এবং সেরে উঠি একই ওষুধে। ইহুদিদের মতো একই গ্রীষ্ম ও শীত আমাদেরও ওম দেয় আর ঠান্ডায় কাঁপায়। তুমি যদি আঘাত করো, আমার কি রক্ত ঝরে না? তুমি যদি কৌতুক বলো, আমি কি হাসি না? এবং তুমি যদি অন্যায় করো, আমি কি তার প্রতিশোধ নেব না? সবকিছুতেই যদি আমরা তোমাদের মতোই হই, তাহলে তুমি যা আমার প্রতি করছ; আমিও তা-ই করব। হয়তো তা হবে তোমার থেকেও কঠিন, আমি তো তোমার কাছ থেকেই শিখছি।

পাঠক, ওপরের কথাগুলোর ফিলিস্তিনি শব্দের জায়গায় ইহুদি শব্দ বসালেই আপনি পেয়ে যাবেন শেক্সপিয়ারের মার্চেন্ট অব ভেনিস নাটকের বিখ্যাত ইহুদি চরিত্র শাইলকের সংলাপ। শাইলকের সম্প্রদায় একসময় নির্যাতক ছিল, এখন তারাই নির্যাতক। ক্ষমতা নিম্নগামী, ইসরায়েল ক্ষমতাবান ইউরোপের ওপর প্রতিশোধ নিতে পারবে না, কিন্তু আগ্রাসন চালাতে পারবে আরবে। সেই আরব, যার কিছু হলে পাশ্চাত্যের কিছুই যায় আসে না। সেখানে বসানো আছে হাতলহীন এক তলোয়ার, যা দুদিকেই কাটে।

ইসরায়েল মাত্র দুই সময়ে হত্যা করে: শান্তিতে ও যুদ্ধে। গাধা যখন বোঝা বয় তখনো সে গাধা, বোঝা নামিয়ে রাখলেও সে গাধাই থাকে। ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট সীমানাহীন এক চলমান রাষ্ট্র। সুতরাং তার সেনাবাহিনীকেও চলমান থাকতে হবে। আলেকজান্ডার, হিটলার ও ইসরায়েলের বাহিনীর মিল এখানেই। নাৎসিবাদের শত্রু ছিল শান্তি, জায়নবাদেরও শত্রু শান্তি। শান্তি মানেই ইসরায়েলের সীমানা বাড়ানো বন্ধ, শেষ ফিলিস্তিনি মানুষকে তাড়ানো এবং তার জমি আত্মসাৎ বন্ধ। সুতরাং পাশ্চাত্যের হাতলহীন তরবারি ইসরায়েলকে যতক্ষণ না খাপে পোরা যাচ্ছে, যতক্ষণ তাকে অপরের জমি থেকে সরানো যাচ্ছে, ততক্ষণ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বলে কিছু থাকতে পারে না। সমস্যার নাম ইসরায়েল, পৃথিবীতে ফিলিস্তিনীরা কারো জন্য কোনো সমস্যা নয়।

‘ফিলিস্তিন সমস্যা’ বলা মাত্রই শান্তির পথ দূরঅস্ত হয়ে যায়। আদতে তা আসলে ‘ইসরায়েল সমস্যা’, ‘ইহুদীবাদ সমস্যা’। ভারতীয় জাতিগুলি স্বাধীনতা চাওয়া মাত্রই ব্রিটিশরা এর নাম দিল ‘ভারত সমস্যা’। ভিক্টিমকেই সমস্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার এই ভিলেইনি চাল মাত করতে না পারলে কোনো সমাধান নাই।

ইতিহাসে ইসরায়েল বলে কোনো রাষ্ট্র ছিল না, দুনিয়ার বিভিন্ন জাতির ইহুদীদের এক জাতি ভাবাও ছিল অকল্পনীয়। সমস্যাটা আকাশ থেকে পাড়লেন ইসরায়েলের স্বপ্নদ্রষ্টা অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক থিওডর হার্জেল। ‘জুডেনস্টাট’ বা ‘ইহুদী রাষ্ট্র’ নামে ১৮৯৬ সালে তিনি যে বই লেখেন, তা হিটলারের ‘মেইন ক্যাম্ফে’র মতোই বিপজ্জনক। হার্জেল লেখেন, ‘আমরা সেখানে (ফিলিস্তিনে) এশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের দুর্গপ্রাচীর বানাব’। ব্রিটেনও চাইছিল তুর্কি ওসমানীয়া সাম্রাজ্য ভেঙ্গে আরবে ভারতের মতো স্বর্ণপ্রসবা উপনিবেশ বসাতে। এজন্য স্বাধীন আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরবদের তুর্কিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উশকায়। শেয়ালের কাছে মুরগি জিম্মায় বিশ্বাসী মক্কার আমীর আর মিসরিয় মোল্লারা ব্রিটেনকে সাহায্য করে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত ওসমানিয় সাম্রাজ্যের আরব অংশ ব্রিটেনের হাতে যায়। এভাবে পাওয়া ফিলিস্তিন কিছুদিন নিজেদের হাতে (যা ব্রিটিশ ম্যান্ডেট বলে পরিচিত) রেখে তুলে দেয় ইউরোপীয় ধনকুবের জায়নবাদী নেতাদের হাতে। আজকের সৌদি আরবে বড় অংশটা উপহার দেওয়া হয় সৌদ পরিবারকে। এ দুটি রাষ্ট্র তাই একভাবে জন্মের ভাই, যাদের ধাত্রী ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকেই এরা এশিয়ায় পাশ্চাত্যের কেল্লার কাজে লাগছে। একটির অস্তিত্ব যে আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্র দুটির গোপন ও প্রকাশ্য মিতালী তার প্রমাণ। আজকে মধ্যপ্রাচ্যের যাবতীয় সমস্যার গোড়া হাতালে এদেরই পাবেন। ফিলিস্তিন তাই সমস্যা নয়, সমস্যার শিকার।

হিটলারের ইউটোপিয়ার শিকার হয়েছিল দুই কোটি মানুষ আর জায়নবাদী হার্জেলের ইউটোপিয়া হলো মধ্যপ্রাচ্যের অভিশাপ। কিন্তু একে শুধু আরবের বা মুসলিমদের সমস্যা ভাবলে এর আসল বিপদ বোঝা কঠিন হবে। দুনিয়ার যেখানেই ফ্যাসিবাদী, সাম্প্রদায়িক বা জাতিবিদ্বেষী কিংবা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মাথা চাড়া দেবে, তার কুফল বিশ্বব্যাপীই ছড়াবে। সবখানেই তারা সাম্প্রদায়িক, ফ্রাসিবাদী, বর্ণবাদী শক্তিকে মদদ জোগাবে। আইএসের প্রতি সমর্থন কিংবা রোহিঙ্গা বা কাশ্মীরীদের দমনে ইসরায়েলের সমর্থনে এই খাসলত স্পষ্ট।

যাহোক, জায়নবাদী নেতারা যে রাষ্ট্রচিন্তা করলেন তা আসলে আদা আর কাঁচকলার মিশ্রণ। এই দুটি পদার্থ আলাদা আলাদা ভাবে খুবই ভাল, কিন্তু একসঙ্গে রান্না করলে অখাদ্য হয়। ইসরায়েল হলো তেমনই এক অখাদ্য জিনিস। কেন তা বলছি।

পৃথিবীতে ইহুদী ধর্মের মানুষ অনাদি কাল থেকেই আছে, কিন্তু ইহুদী জাতি বলে কিছু নাই। ধর্মের ইতিহাস অনেক পুরনো, কিন্তু আধুনিক জাতীয়তাবাদের ইতিহাস বড়জোর ৩০০ বছর। আজকের পৃথিবীতে যেসব জাতি এবং তাদের নামে জাতিরাষ্ট্রগুলি কায়েম আছে, সেসব জাতি অতীতে এভাবে পরিচিত হতো না। ইতালিয়রা সবাই রোমান শাসকদের বংশধর নয়, ফরাসিরা অতীতে বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল, ইংল্যান্ডের ইংলিশরাও একাধিক এথনিক বা নৃতাত্তিক গোষ্ঠীর মিশেল। দুনিয়ায় কোনো বিশুদ্ধ জাতি নেই, অথচ জায়নবাদীদের দাবি তাদের রক্ত বিশুদ্ধ, তারা রক্তের সম্পর্কে ইহুদী— ধর্মান্তরিত মোটেই নয়; অনাদি কাল থেকেই তাদের জাতিগত ও ধর্মীয় বিশুদ্ধতা অটুট রয়েছে। এই অহংকার ও মৌলবাদী বিশ্বাস তাদের অন্যদের থেকে আলাদা এবং তটস্থ রাখে। ইউরোপে যখন আধুনিক জাতীয়তাবাদ মাথা তুলছে, তখন ইহুদী বুদ্ধিজীবীরা ভয় পেল।

হার্জেল ভাবলেন, এ পরিবেশে ইহুদীরা আলাদা অস্তিত্ব টেকাতে পারবে না। জার্মান ইহুদীদের জার্মান, রুশ ইহুদীদের রুশ হয়ে যেতে হবে। তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। হয়তো দলে দলে খ্রিস্টান হয়ে যেতে বলা হবে, সম্প্রদায়গত ঈদ্দিশ ভাষা ছেড়ে জাতীয় ভাষাগুলিতে কথা বলতে হবে। তাঁর হয়তো মনে পড়ে থাকবে ১৪৯২ সালে স্পেনে মুসলিম রাজত্বের অবসানের দিনের কথা। সেদিন রাজা ফার্দিনান্দ ও রাণী ইসাবেলা মুসলমানদের হত্যা ও বিতাড়নের পর ইহুদীদের দেশান্তর অথবা ধর্মান্তরের কোনো একটা বেছে নিতে বলেছিল।

ট্রাম্পের ঘোষণায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভের জোয়ার। ছবি: রয়টার্সহার্জেল উপায় ভাবলেন, ধর্ম সম্প্রদায়কে জাতি বানিয়ে ফেলতে হবে, সেই জাতির নামে ভূমি হাসিল করতে হবে। জায়নবাদীরা ধর্মীয় সম্প্রদায়কেই জাতি বানাতে চাইল, যে জাতির মধ্যে অন্য ধর্মের লোক থাকতে পারবে না। সেই জাতির জাতীয় রাষ্ট্র হবে ইসরায়েল। আর এ জন্য দুনিয়ার বিভিন্ন জাতির ইহুদীদের বোঝানো হলো, আজ থেকে তোমরা রুশ, ফরাসি, ব্রিটিশ বা জার্মান কিংবা আরব নও, তোমরা হলে ইহুদী জাতি। ইসরায়েলে পা রাখা মাত্রই তোমরা হবে এর সম্মানিত নাগরিক। অথচ ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার ১২৬টি জাতির মধ্যে ‘ইসরায়েলি’ বলে কেউ নেই। ইসরায়েলি হলো নাগরিকত্ব, জাতিতে তারা শুধুই ইহুদী। ১৯৪৮ এ জাতিসংঘের ঘোষণায়ও ‘ইহুদী রাষ্ট্র’ কথাটা ছিল, ইসরায়েল বলে কিছু ছিল না।

ইহুদীবাদ আর সব আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের পথে না গিয়ে ধর্মকে জাতি ভাবল, জাতিই পেল ধর্মের স্থান। ইহুদী রাব্বিরা এমন উদ্ভট তত্ত্বকে ধর্মোদ্রহ বললেও, এটা ছাড়া ইহুদীদের আলাদা বাসভূমি দাবির কোনো যুক্তিই থাকে না। জায়নবাদী ও ব্রিটিশ ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এই অসম্ভবকেই সম্ভব করলো ১৯২০ এর দশক থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত। বেলফুর চুক্তি নামের ষড়যন্ত্র, ফিলিস্তিন অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে শুরু করে যুদ্ধ করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সবই হলো ইতিহাসের সবচেয়ে উদ্ভট রাষ্ট্রীয় পরীক্ষা-প্রকল্প। এই ইহুদীবাদী রাষ্ট্রের পক্ষে তাই গঠনগত ও চেতনাগত কারণেই গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও সেকুলার হওয়া সম্ভব না। অ-ইহুদী কারুকে সমান ভেবে একই সমাজ-রাষ্ট্রের অংশ করতেও তারা নারাজ।

বাইবেলের উপকথাকে তাদের সংবিধানের মৌলিক অংশ করে নিয়ে দাবি করছে, জেরুজালেম তাদের চিরন্তন রাজধানী এবং জর্ডান নদী থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত এলাকা হবে ইসরায়েলের ভূমি। অথচ বাইবেল কথিত ‘ল্যান্ড অব ইসরায়েল’ও কোনো ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝাত না, তা বোঝাত ইহুদীদের আধ্ম্যাত্মিক কেন্দ্রকে। বাস্তবে তা ছিল কেনান ও জুডাহ নামের অঞ্চল। খ্রিষ্টজন্মের আগে ও পরে মাত্র কয়েকশ বছর জেরুজালেমে ইহুদী রাজত্বের দাবির ভিত্তিতে এই প্রাচীন নগরীর সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মালিকানা দাবি করাও তাই অন্যায়। তাছাড়া ৭০ খ্রিস্টাব্দে জেরুজালেম থেকে ইহুদীদের বিতাড়নেরও কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে না। হজরত উমর (রাঃ) এর জেরুজালেম জয়ের পরেই কেবল তারা তাদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার ফিরে পায়, যে অধিকার কেড়ে নিয়েছিল রোমানরা।

মিসর থেকে ইহুদীদের দেশান্তরের মিথেরও সত্যতা পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলে বসবাসকারী ইহুদীদের নব্বই শতাংশও নৃতাত্ত্বিকভাবে আদি বনি ইসরায়েল বা হজরত ইব্রাহিম (আঃ) এর পুত্র ইসহাকের বংশধর নয়, বরং তাদের রক্তে বইছে মধ্যযুগীয় পূর্ব ইউরোপীয় খাজারি রাজত্বের অধিবাসীদের রক্ত—পনের শতকে মোঙ্গল আক্রমণে যারা মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিম ইউরোপের দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি তারা হিব্রু ভাষায়ও কথা বলতো না। তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শ্লোমো স্যান্ডের বেস্ট সেলার বই ‘দ্য ইনভেনশন অব জুয়িশ পিপল’ এবং ‘দ্য ইনভেনশন অব দ্য ল্যান্ড অব ইসরায়েল’ ইসরায়েলের যাবতীয় দাবিকে অথৈ পানিতে ফেলে দিয়েছে।

ড. স্লোমো স্যান্ড দাবি করেছিলেন, আজকের ফিলিস্তিনীদের মধ্যেই আদি বনি ইসরায়েলের বংশধরদের রক্ত বেশি প্রবাহিত। ইতিহাসের পরিহাস এই যে, ইহুদীবাদী বানোয়াট রাষ্ট্র ইসরায়েল ইহুদীদের নামে তাদের ধর্মীয়, জাতিগত ও ভূমিগত জ্ঞাতিভাইবোনদের হত্যা করে চলেছে। ইসরায়েলকে মোকাবেলা করতে হলে তার নকল ইতিহাস ও রাষ্ট্রপ্রকল্পের অসারতাও দেখাতে হবে।

নাৎসিবাদের জার্মান জাতির জায়গায় ইহুদী আর জার্মানির বদলে ইসরায়েল বসালে যা হয়, তা-ই জায়নবাদ। এর মোকাবেলায় ইহুদীর জায়গায় মুসলমান এবং ইসরায়েলের জায়গায় আরব বা ফিলিস্তিন বসালে তাই আরেকটা সংকীর্ণ ভেদবাদী মতবাদই হবে; আরবের সত্যিকার মুক্তি আসবে না। আজকের প্রেক্ষিতে একই কথা আমাদের বলতে পারতে হবে যে, ফিলিস্তিনে তিন ধর্মের ও বহুজাতির সাম্যের ভিত্তিতে এক বা একাধিক রাষ্ট্র গঠনই ইসরায়েল সমস্যার সমাধান। তার জন্য কেবল ইসরায়েল নয়, আরব স্বৈরতন্ত্রের খপ্পর থেকেও বেরিয়ে আসার সংগ্রাম দরকার। ভিনদেশি দখলদার আর স্বদেশীয় স্বৈরতন্ত্র আসলে মানিকজোড়, একটিকে রেখে অন্যটিকে বশ করা যাবে না। শতবর্ষীয় আরব মূঢ়তা ও অনৈক্য দেখার পর এটা এখন দিনের সূর্যের মতো সত্য।

ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।
[email protected]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *