উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের!

Slider সারাবিশ্ব

180210NICKY

 

 

 

 

যুদ্ধ লাগলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে আবারো হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এই হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বুধবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একই ধরনের হুমকির পুনরাবৃত্তি করেন।

হ্যালি বলেন, উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক গতকাল এমন একটি কাজ করেছেন যা বিশ্বকে যুদ্ধের আরো কাছাকাছি নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, যদি যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে উত্তর কোরিয়া সরকারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হবে; এতে কোনো ভুল হবে না।

তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীনকে সবার আগে এই কাজ শুরু করতে হবে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা চাই চীন আরো কিছু করুক। হ্যালি জানান, আজ সকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি উত্তর কোরিয়ায় জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বেইজিং থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ট্রাম্পের আহ্বানের জবাবে জিনপিং বলেছেন, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেইজিং বদ্ধপরিকর।

সেইসঙ্গে চীন কোরিয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে চায় বলেও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উল্লেখ করেন।

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতরা উত্তর কোরিয়াকে ধৈর্যধারণ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, আমেরিকার সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের শত্রুতা কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে হবে।

প্রায় দুই মাসের বিরতির পর উত্তর কোরিয়া বুধবার এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪,৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর নিক্ষেপের স্থান থেকে ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বে জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি উপরের দিকে নিক্ষেপ না করে সোজাসুজি নিক্ষেপ করলে এটি দিয়ে ১৩,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, এ পরীক্ষার মাধ্যমে গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *