রাখাইনে ঘাস খেয়ে বাঁচার চেষ্টা রোহিঙ্গাদের

Slider সারাবিশ্ব
রাখাইনে ঘাস খেয়ে বাঁচার চেষ্টা রোহিঙ্গাদের


রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার এলাকাগুলোর একটি মংডু। শহরটির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছিল রোহিঙ্গাদের বসতি।

ওই এলাকার মূল সড়কে আশপাশে ৪০ কি.মি পর্যন্ত লাখো মানুষের বসতি ছিল।কিন্ত বর্মী আর্মিদের জাতিগত নিধন অপারেশনে পুড়ে ছাই হয়েছে এসব গ্রাম। সেনাদের তাণ্ডব, নৃশংসতা ও ভয়াবহতা হার মানিয়েছে মানবতাকে। প্রাণে বেঁচে এরই মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা। আর যারা এখনও পালাতে পারেনি; সেনাদের ভয়ে তাদের বনজঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। সেখানে ঘাস আর পানি খেয়ে বেঁচে আছে তারা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স স্থানীয় এক শিক্ষকের বরাত দিয়ে জানায়,  ওই অঞ্চলের ইউশেই কিয়া গ্রামের রোহিঙ্গাদের উপর সেনাসদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ করেছে। সেনাদের তাণ্ডবের শিকার হয়ে ৮০০টি পরিবারের মধ্যে এখন আছে মাত্র ১০০টি। যারা রয়ে গেছে তাদের সেনাদের সঙ্গে লুকোচুরি করে থাকতে হচ্ছে। কারণ সেনারা সকালে গ্রামে আসে। সেনারা গ্রামে এলে তারা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে এবং চলে গেলে রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। ‘

এই শিক্ষক বলেন, আজ সন্ধ্যায় খাওয়ার মতো কোনো খাবার নেই আমাদের। কী করার আছে? আমরা জঙ্গলের কাছাকাছি থাকি। সেখানে অনেক ঘাস রয়েছে; আমরা এটাই খাচ্ছি। এরপর একটু পানি সংগ্রহ করে পান করছি। এভাবেই বেঁচে আছি আমরা। ‘ ওই শিক্ষকের নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স।

সেনাদের পুড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গা বসতবাড়িগুলো এখন বিরানভূমি। এক সময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের পদচারণায় মুখর স্থানীয় মসজিদ, বাজার ও স্কুল এখন একেবারে নীরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *