জেলার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জানা যায়, ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে গত বুধবার রাত বাঙালী নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। রবিবার সকালে হলহলিয়া খালের উত্তর তীরে তারাকান্দি-শৈলমারী সড়ক কাম বাঁধ ভেঙে যায়। এতে এলাঙ্গী ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বর্তমানে ধুনট উপজেলার ৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, বন্যার পানিতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটেছে। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বলেন, বাঙালী নদী তীরের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো বর্ষা মৌসুমের শুরুতে প্লাবিত হয়েছে। সম্প্রতি নিমগাছী ইউনিয়নে বাঙালী নদীর বাঁধ ভেঙে এলাঙ্গী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
উপজেলার হলহলিয়া খালটি বথুয়াবাড়ীতে বাঙালী নদীর সাথে যুক্ত রয়েছে। তারাকান্দি থেকে শৈলমারী পর্যন্ত হলহলিয়া খালের উত্তর তীর ধরে কাঁচা সড়ক আছে। বর্ষাকালে ওই সড়কের উত্তর অংশে পানি প্রবেশ করে কৃষকের ক্ষতিসাধন হয়। এ কারণে সড়কটি উঁচু করে সড়ক কাম বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ বছর বন্যার পানি থেকে উত্তর এলাকার জমির ফসল রক্ষা করে বাঁধটি। কিন্তু রবিবার সকালে তারাকান্দি গ্রামের পশ্চিমে ওই বাঁধকাম সড়কটি ভেঙে যায়। এতে পানি প্রবেশ করে ধাপারচরাসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, এ বারের বন্যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বাঙালী নদীর বাঁধ ভাঙা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার। ইতিমধ্যে যমুনা নদীর বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাঙালী নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।