মিশরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার জবাবে লিবিয়ায় সন্ত্রাসী আস্তানায় হামলা

Slider সারাবিশ্ব

085204mishor_kalerkantho_pic

 

 

 

 

 

মিশরের বিমানবাহিনী লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে জিহাদিদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার জবাবে ‘সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে’ পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সিসি বলেছেন কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলা চালানো বন্দুকধারীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেরনা শহরের ক্যাম্পে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

বিবিসির প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, হামলার পর তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের শিবিরের ওপর হামলায় তিনি কোন ধরনের দ্বিধা করবেননা। এক টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন সন্ত্রাসীদের এই হামলা মিশরীয়দের বিভক্ত করতে পারবে না, তিনি তার দেশকে রক্ষা করবেন। অপরাধীদেরও শাস্তি দেবেন।

প্রেসিডেন্ট সিসি আরো বলেছেন, ‘মিশরের অর্থনীতি, সামাজিক শান্তি নষ্ট করার জন্য সবধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা সবসময় একত্রিত ও সক্ষম থাকবো। এটা শুধু মিশরের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা যুদ্ধে লড়াই করছি তা নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি করছি। ‘

এমন অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য পুরো বিশ্বকে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। অশুভ শক্তির কাছ থেকে মিশরের নাগরিকদের সুরক্ষার প্রতিজ্ঞা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয় তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট সিসি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে সাহায্যের আহ্বানও জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, লিবিয়ায় যেসব জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে তারা মিশরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার সাথে জড়িত। যদিও ওই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি, তবে গত সম্প্রতি মিশরে কপটিক খ্রিস্টানদের উপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বা আইএস।

কায়রোর দক্ষিণে মিনিয়া প্রদেশে একটি খ্রিস্টান মঠ দেখতে যাচ্ছিলো কপটিক খ্রিস্টানরা, তখন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে বন্দুকধারীরা। এতে ২৮ জন নিহত হয় এবং আহত হয় ২৫ জন।
এর আগে গত ৯ই এপ্রিল তান্তা ও আলেক্সান্দ্রিয়ায় চার্চ লক্ষ্য করে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *