কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার করিয়ারদিয়া মৌজায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন জমির মালিকরা। আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সরকার করিয়ারদিয়া মৌজার এক হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত ৩ ধারার একটি নোটিশ জমির মালিকদের কাছে পৌঁছানো হয়।
কিন্তু অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে জমির মালিকরা প্রকৃত মূল্য দূরে থাক, তার কিয়দংশও পাবে না। এ আশঙ্কায় তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জোর দেনদরবার করে আসছেন। কিন্তু তাদের দাবির স্বপক্ষে এখনো কোনো আশ্বাস পাননি।
অধিগ্রহণকৃত জমির উচ্চ উৎপাদনশীলতার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য করিয়ারদিয়া মৌজার যে এক হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তার পুরোটাই লবণ মাঠ। এ ছাড়া সেখানে পাঁচ শতাধিক বসতবাড়িও রয়েছে। বর্তমানে এ এলাকার প্রতি একর জমিতে বার্ষিক লবণ উৎপাদন হয় ৭৫০ মণ, যার বর্তমান বাজারমূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি।
এ ছাড়া এসব জমিতে বর্ষার ছয় মাস চিংড়ির চাষ হয়। যেখান থেকে প্রতি একরে আয় হয় প্রায় আট লাখ টাকা। অর্থাৎ এ এলাকায় একর প্রতি জমি থেকে প্রতিবছর আয় হয় খরচ বাদে ১০ লক্ষাধিক টাকা। অথচ বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হলে তা হবে মাত্র এক বছরের আয়ের সমান।