গাজীপুরে চলছে উদ্ধার কাজ, ভৈরব হয়ে ময়মনসিংহে চলছে ট্রেন

Slider জাতীয়

টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল রুটের গাজীপুরের বনখুরিয়ায় ট্রেন দূর্ঘটনার কারণে বন্ধ হওয়া রেলরুট বিকল্প পথে চালু হয়েছে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুট চলাচলকারী সকল ট্রেন ঢাকা-টঙ্গী হয়ে ভৈরব দিয়ে ময়মনসিংহে যাতায়াত করছে।

বিকল্প পথে চলা ট্রেনগুলো হল, আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস , মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওড় এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ব্রম্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, বলাকা এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ও মহুয়া এক্সপ্রেস।

টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ- পরিদর্শক ( এসআই) ছোটন শর্মা বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের সকল ট্রেন ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব দিয়ে ময়মনসিংহে যাতায়াত করছে। দূর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর থেকে বিকল্প পথে ট্রেন চলছে।

জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, এই রুটের ট্রেন ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে ভৈরব দিয়ে ময়মনসিংহে যাতায়াত করছে।

গতকাল বুধবার ভোররাতে গাজীপুরের ভাওয়াল গাজীপুর স্টেশনের কাছে বনখুড়িয়া নামক স্থানে ট্রেন দূর্ঘটনা ঘটে। এই দূর্ঘটনায় একজন নিহত ও দুই জন রেলকর্মচারী সহ ১১ জন আহত হয়। নিহত যাত্রীর লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত যাত্রী আসলাম শেখ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার রৌহা গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের ছেলে। নিহতের ভাই মোকছেদুল কালের কন্ঠকে বলেন, নিহত আসলাম একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তিনি কাঁচামাল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য গফরগাঁও স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ইনচার্জ আবু ফজল জানান, এ ঘটনায় একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে চার জন ও সাত জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

আহতরা হলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জালাল উদ্দীনের ছেলে রফিকুল মোল্লা, (৩৫), সফিক মিয়ার স্ত্রী জামিনা খাতুন৩৫), কুমিল্লার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সুরভী আক্তার (১৮), নেত্রকোনার গৌতম সাহার স্ত্রী রুপালি সাহা (৪০), মনির উদ্দিনের ছেলে বেলাল উদ্দিন ( ৪০) জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা(৩০), নিজাম উদ্দিনের ছেলে জলিল (৩৮), লালু মিয়ার ছেলে সুমন (২৫), ও গনু মিয়ার ছেলে রফিকুল(৩৫)।

আহত অপর দুই জন হলেন, ট্রেনের লোকো মাস্টার ময়মনসিংহের ইসমাইলের ছেলে এমদাদ হোসেন ও সহকারী লোকো মাস্টার নেত্রকোনার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সবুজ। তার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ৪ জন হলেন, রফিকুল, জামিনা, সোরভী ও রুপালী সাহা।

এদিকে এই ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলছে। ঘটনা তদন্তে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে নাশকতা বলে মনে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *