চট্টগ্রাম; ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে তার পরিবার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তাকে বাসায় ঢুকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড় তাই প্রমাণ করে। ময়নাতদন্তে দিয়াজকে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তার অনুসারী নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই সময় তারা শহর ও ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দিয়াজের অনুসারীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে খুনিদের বাঁচানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে কারা তাকে খুন করেছে সেই বিষয়ে পরিবার থেকে কাউকে এখনো শনাক্ত করা না হলেও টেন্ডারের জের ধরে দিয়াজ খুন হয়েছেন অন্তত এমনটাই মনে করছে পুলিশসহ তার আত্মীয়স্বজন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, মৃত্যুর পর শুরু থেকে তাকে নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়। যদিও তার পরিবার শুরু থেকেই দাবি করছেন দিয়াজ আত্মহত্যা করতে পারেন না। গতকাল বুধবার সকালে ফরেনসিক বিভাগের তৈরি করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছলে সেখানে আত্মহত্যার বিষয়টি জানা যায়। প্রতিবেদনে একজন অধ্যাপক ও দুইজন সহকারী অধ্যাপকের স্বাক্ষর রয়েছে। সেখানে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর গলায় আঁচড়ের দাগ আত্মহত্যা কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের কারণে হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ বলেন, ময়নাতদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাইনি। সেখানে দিয়াজ ইরফান নামের ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তিন চিকিৎসক এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা লিখেছেন।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার পরিবারের সদস্যরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, খুব তাড়াহুড়ো করে এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তার শরীরের কনুইয়ের দিকে কালচে দাগ রয়েছে। এ বিষয়ে আজকালের মধ্যে তারা সংবাদ সম্মেলন করে বিচারের জন্য সরকারের কাছে যাওয়ার কথা জানান।
দিয়াজের ভগ্নিপতি সরওয়ার আলম বলেন, এই প্রতিবেদন হাস্যকর। এখানে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা নেই। তার আঘাতের বিষয়ে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেগুলো মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে বসে এ নিয়ে করণীয় ঠিক করবো। সুস্থ স্বাভাবিক ছেলেটি কেন আত্মহত্যা করবে তার কোনো কারণ কেউ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে এমনটি আমরা বারবারই বলছি।
গত রোববার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে নিজ কক্ষের দরজা খোলার জন্য অনেক ডাকাডাকি করেন তার মা। একপর্যায়ে কোনো ধরনের সাড়া না পেয়ে পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় জানালা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় হাটহাজারী থানা পুলিশ গিয়ে রাত ১০টায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
দিয়াজের অনুসারীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে খুনিদের বাঁচানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে কারা তাকে খুন করেছে সেই বিষয়ে পরিবার থেকে কাউকে এখনো শনাক্ত করা না হলেও টেন্ডারের জের ধরে দিয়াজ খুন হয়েছেন অন্তত এমনটাই মনে করছে পুলিশসহ তার আত্মীয়স্বজন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, মৃত্যুর পর শুরু থেকে তাকে নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়। যদিও তার পরিবার শুরু থেকেই দাবি করছেন দিয়াজ আত্মহত্যা করতে পারেন না। গতকাল বুধবার সকালে ফরেনসিক বিভাগের তৈরি করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছলে সেখানে আত্মহত্যার বিষয়টি জানা যায়। প্রতিবেদনে একজন অধ্যাপক ও দুইজন সহকারী অধ্যাপকের স্বাক্ষর রয়েছে। সেখানে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর গলায় আঁচড়ের দাগ আত্মহত্যা কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের কারণে হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ বলেন, ময়নাতদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাইনি। সেখানে দিয়াজ ইরফান নামের ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তিন চিকিৎসক এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা লিখেছেন।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার পরিবারের সদস্যরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, খুব তাড়াহুড়ো করে এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তার শরীরের কনুইয়ের দিকে কালচে দাগ রয়েছে। এ বিষয়ে আজকালের মধ্যে তারা সংবাদ সম্মেলন করে বিচারের জন্য সরকারের কাছে যাওয়ার কথা জানান।
দিয়াজের ভগ্নিপতি সরওয়ার আলম বলেন, এই প্রতিবেদন হাস্যকর। এখানে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা নেই। তার আঘাতের বিষয়ে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেগুলো মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে বসে এ নিয়ে করণীয় ঠিক করবো। সুস্থ স্বাভাবিক ছেলেটি কেন আত্মহত্যা করবে তার কোনো কারণ কেউ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে এমনটি আমরা বারবারই বলছি।
গত রোববার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে নিজ কক্ষের দরজা খোলার জন্য অনেক ডাকাডাকি করেন তার মা। একপর্যায়ে কোনো ধরনের সাড়া না পেয়ে পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় জানালা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় হাটহাজারী থানা পুলিশ গিয়ে রাত ১০টায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।