কে এই তামিম?

Slider লাইফস্টাইল

file

ঢাকা; মোস্টওয়ান্টেড তামিম চৌধুরী। বাংলাদেশি বশোদ্ভূত কানাডিয়ান। বছর তিনেক আগে বাংলাদেশে আসার পর আর কানাডা ফিরে যায়নি। যোগাযোগ ছিল না  পরিবারের সঙ্গেও। তখন থেকেই জঙ্গিদের সংগঠিত করার মিশনে নামে তামিম। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ, আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়। গত দুই বছরে জেএমবি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি নৃংশস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় তার নাম ওঠে আসে। তবে গুলশান হামলার আগে তার ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্য জানতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলশান ও  শোলাকিয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে তার ব্যাপারে একের পর এক তথ্য পান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পুলিশ সূত্র জানায়, নতুন করে সংগঠিত জেএমবি’র অন্যতম নেতা তামিম চৌধুরী। তার নেতৃত্বেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে জঙ্গিরা। গুলশান ও শোলাকিয়ার নৃশংস জঙ্গি হামলার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড সে। কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অপারেশনে আহত অবস্থায় আটক হওয়া রাকিবুল হাসান ওরফে রিগানের দেয়া তথ্যেও ওঠে আসে এই তামিম চৌধুরীর নাম। গত ২রা আগস্ট তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। অবশেষে গোপন সূত্রের খবরে তার আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। গতকাল ভোরে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের সেই জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট স্ট্রং টুয়েন্টি সেভেন নামে অভিযান চালায় তারা। এ অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। তামিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রাম সাদিমাপুরে। প্রয়াত আবদুল মজিদ চৌধুরীর নাতি সে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, আবদুল মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তামিমের বাবা শফিক আহমেদ চৌধুরী জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সপরিবারে কানাডায় চলে যান। পরিবারের সঙ্গে কানাডার উইন্ডসরে থাকতেন তামিম। ২০১৩ সালের ৫ই অক্টোবর ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে আসে। এরপর থেকে নিখোঁজ। মূলত দেশে ফেরার পর থেকেই তামিম জেএমবিকে নতুন করে সংগঠিত করতে শুরু করে। জেএমবি’র নতুন এই ধারাটি হয়ে ওঠে অনেক ধ্বংসাত্মক। গত দু’বছরে জেএমবি রাজধানী  ঢাকা, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্নস্থানে বেশ কয়েকটি হত্যা ও হামলার মিশনে অংশ নেয়।

গত ২রা আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক পলাতক তামিম চৌধুরী ও মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেন। ওই সময় আইজিপি বলেন, গুলশান হামলার সময় তামিম দেশেই ছিল। বসুন্ধরার একটি বাসায় সে হামলার আগে জঙ্গিদের ব্রিফ করে। নিজেই জঙ্গিদের নিয়ে গুলশানে এসেছে। ওই জঙ্গিদের রিক্রুটও করেছে তামিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *