মন্তব্য কলাম: ডু অর ডাই ফর ফিউচার ডেমোক্রেসি

Slider টপ নিউজ সম্পাদকীয়

95bc213026aee9aed413438884f2cba7-5a5deb5540963

২৪ ঘন্টার কম সময়েই শুরু হবে খুলনা সিটিতে ভোট গ্রহন। নির্বচন স্থগিত না হলে গাজীপুরেও এখন চলত কাম-ডাউন। অনাকাংখিত জটিলতায় থেমে যাওয়ার পর গাসিক নির্বাচন চালু হলেও এখনো ঘুমিয়ে পড়া আমেজের ঘুম ভাঙেনি। গতকাল নির্বাচন ও প্রচারণার তারিখ ঘোষনা হলেও নগরীতে নির্বাচনী আনন্দ উল্লাস দৃশ্যমান হয়নি। পরিস্থিতি বলছে, কাল খুলনা সিটির নির্বাচন ও নির্বাচনের পরিণতি, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণে খেলামেলা শুরু হবে। আর এই খেলামেলায় দুই নির্বাচনী আচরণ, পরিবেশ ও ফলাফল ,আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষৎ ঠিক করবে।

আমরা দেখেছি, নারায়নগঞ্জ সিটি নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বিজয়ী হয়েছেন। মেয়র হওয়ার পর আইভী রাজপথে আহত হয়েছেন। প্রকাশ্যে ঘটনা হলেও তার বিচার হয়নি। কারণ আইভীর অভিযোগ ছিল, স্থানীয় একই দলের সাংসদ শামিম উসমানের বিরুদ্ধে।

নারায়নগঞ্জ ছাড়া দেশের যে সকল সিটি করপোরেশনে সরকার বিরোধী লোক মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন, তাদের প্রায় সকলকেই কারাগারে থাকতে হয়েছে। ফলে তারা নগরের তেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় নির্বাচন মহানগর নির্বাচন। এই ধারাবাহিকতায় কাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে খুলনা সিটি নির্বাচন। খুলনা সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের আচরণ এবং ফলাফলের উপর নির্ভর করবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি। খুলনার ঢেউ গাজীপুরে আসার পর গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ঝিমিয়ে পড়া আমেজ আবার চাঙা হবে। আর খুলনার নির্বাচন বলে দিবে গাজীপুরের নির্বাচন কেমন হবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলছে, যদি কথা ঠিক থাকে তবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষনা হবে আর ডিসেম্বরে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। সাবেক বিরোধী দলের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান দন্ডিত হয়ে কারাগারে ও দেশের বাইরে রয়েছেন। এই অবস্থায় রাজপথের বিরোধী দল বলছে, এই সরকার একতরফা নির্বাচন করতে সংবিধান সংশোধন করে নিজেদের দখলে সরকার রেখে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আর সরকারী দল বলছে, তাদের অধীনই নির্বাচন হবে ও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে কে আসল, কে আসল না, সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়।

সুতরাং সরকারী দলের কথা ঠিক থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে দুই প্রধান দলের অবস্থান বিপরীতমুখী। এই অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন হলে আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীমত একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়ে যাবে। এরকম হলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হবে।

সাধারণ মানুষ মনে করে, খুলনা ও গাজীপুর সহ স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ গ্রহনে চাপ সৃষ্টি করা যাবে। আর তা না হলে একতরফা নির্বাচন দেশের জন্য অমঙ্গলজনক হবে। এই অবস্থায় কালকের নির্বাচন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জন্য ডু অর ডাই এর মত। কারণ এই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলের ইঙ্গিত। আর তা না হলে অমঙ্গলও নিশ্চিত।

জাতি আশা করে, কালকের নির্বাচন আমাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর ও স্বার্থক করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানে মাইলফলক হতে পারে। তাই কালকের নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় এই আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *