আদেশ ‘অমান্য’: হাইকোর্টে ২ জেলারসহ তিনজনের ব্যাখ্যা

Slider বাংলার আদালত

 

2016_06_13_11_54_21_ypzsND9Fj7WaTkxLWpxQpSWctzvzfS_original

 

 

 

 

ঢাকা: কারাবন্দি তিন আসামির জামিননামা দাখিলের পরও তাদের কারামুক্তি না দেয়ায় ব্যাখা দিতে দুই জেলার ও সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

এরা হলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তাদের হাইকোর্ট তলব করে। হাইকোর্টের আদেশের পর তারা আজ সোমবার (১৩ জুন) আদালতে এসে উপস্থিত হন সোমবার বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের ব্যাখ্যা দেন। আগামী ১৫ জুন এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালত সেদিন বলেছিলেন, ‘প্রতিদিনই অনেক আসামির কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগ আমরা প্রতিনিয়তই পাচ্ছি। আমাদের জামিননামা পাওয়ার পরও তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি। আপনারা হাইকোর্টের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।’

আদালত আরো বলেছেন, ‘আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করতেই পারে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশ না আসা পর্যন্ত কোনো আসামির কারামুক্তি কি বাধাগ্রস্ত করা যায়?’

অর্থপাচারের অভিযোগ এনে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় গত ৮ মে পাঁচ আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর দুই আসামিকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুনের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামি- গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গণিকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

ওই চিঠিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবে।

এরপর গত ৫ জুন ওই তিন আসামির এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষতে হাইকোর্ট দুই জেলসুপারসহ তিনজনকে তলব করেন। তারা আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিলেন। পরে এ বিষয়ে আগামী ১৫ জুন আদেশ দেবেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *