সাক্ষাৎকার জনগণের নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন অর্থহীন

Slider টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত

 

18091_b4

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে না পারা ও বিচারহীনতার কারণেই একের পর এক টার্গেট কিলিং হচ্ছে। দেশের নাগরিকের নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন অর্থহীন। সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্র সফলতার পরিচয় দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আরো সক্রিয় হতে হবে। মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন-
মানবজমিন: একের পর এক ‘টার্গেট কিলিং’। রোববার একই দিনে চট্টগ্রামে পুলিশ সুপারের স্ত্রী এবং নাটোরে একজন খ্রিষ্টান ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় হত্যা করা হলো। এ ধরনের অব্যাহত ঘটনার বিষয়ে করণীয় কি?
ড. মিজানুর রহমান: ওই দিন পুলিশের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। সঙ্গতকারণেই এটি তারা (পুলিশ বাহিনী) গ্রহণ করতে পারছে না। কিন্তু কেন এ অবস্থার সৃষ্টি হলো যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা করতেও অপরাধীরা ভয় পায় না, তারা সন্ত্রস্ত নয়, ভীত নয়। এটা বলাই বাহুল্য যে, এর আগের ঘটনাগুলোর যদি সুষ্ঠু বিচার হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। কারণ অপরাধীরা বুঝতে পেরেছে, যারাই অপরাধ করেছে সেই অপরাধের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি কারা অপরাধী তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা যায়নি। এতে করে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে। তারা ভাবতে শুরু করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। এরকম একটি বিশ্বাস থেকেই অপরাধীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের ওপর হামলা করতেও দ্বিধা করছে না। এটা কিন্তু স্পষ্ট গলায় বলা যায়, আমরা যদি সঠিক সময়ে এর আগের সকল খুনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারতাম বিচারের আওতায় আনতে পারতাম তাহলে আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। যেভাবে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা করা হলো তাতে শুধু নাগরিক হিসেবে নয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে নিহতের স্বজনদের শুধু সহানুভূতি নয় এই জঙ্গিবাদ ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ক্রোধ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তবে, এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ যেভাবে দুঃিখত ও ভারাক্রান্ত হয়েছে তাতে পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। পুলিশ বাহিনীর জানা দরকার যে, তারা জনগণের বন্ধু কিনা জানি না, জনগণ তাদের বন্ধু। আমরা তাদের পাশে আছি। তাই পুলিশের কাছে আমার আবেদন থাকবে সাধারণ মানুষ তাদের দায় প্রমাণ করেছে। আপনারাও (পুলিশ বাহিনী) যে সাধারণ মানুষের বন্ধু এটা প্রমাণ করুন। জনগণ যেন আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে। একই সঙ্গে যারা এসব খুনের সঙ্গে জড়িত, যারা অপরাধী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। তবে, অপরাধীদের ধরতে গিয়ে কোনো সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, কাউকে যেন অযথাই নিগৃহীত হতে না হয়।
মানবজমিন: টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার কোনো ঘটনারই এখন পর্যন্ত কিনারা হয়নি। রাষ্ট্র কি নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে?
ড. মিজানুর রহমান: সামগ্রিকভাবে না বললেও একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কিংবা নাটোরের যে খ্রিষ্টান ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে তাদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে-এটা বলা কি অযৌক্তিক হবে? বার বার যদি একই ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে সঙ্গত কারণেই এটি কিন্তু জনগণের মনে একধরনের নিরাপত্তাহীনতার চিন্তা কাজ করে। রাষ্ট্রের মনে রাখা দরকার এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের মনে নিরাপত্তাহীনতা বোধের সৃষ্টি করছে। মানুষের মনে নিরাপত্তাহীনতার এই বোধ যদি সৃষ্টি হয় তাহলে এটা কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য কোনো শুভ বার্তা নয়। আনন্দের বা মজার কোনো খবর নয়। বরং এটি রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। রাষ্ট্রকে এটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। এ ঘটনাগুলোকে ন্যূনতম বা শূন্যের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
মানবজমিন: উন্নয়ন-গণতন্ত্র-নিরাপত্তা-এ প্রশ্নে নানা রকম কথা শোনা যায়। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
ড. মিজানুর রহমান: উন্নয়ন অবশ্যই দরকার। তবে, উন্নয়ন শুধু দালান কোঠা, রাস্তা, সেতুর জন্য নয়। রাস্তা, সেতু তো জনগণের জন্যই। সেই জনগণই যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, জনগণের ভেতরে যদি আনন্দ না থাকে, নিজেকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে, আমি বাইরে বের হতে যদি শঙ্কিত বোধ করি-তাহলে কার জন্য এই উন্নয়ন। উন্নয়ন তখন অর্থহীন হয়ে যায়। উন্নয়নের সঙ্গে জনজীবনের যে সম্পর্ক আছে সেটিতো ভুলে যাওয়া যায় না। জনগণের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করে সুরক্ষিত রেখে যে উন্নয়ন সেটিই হচ্ছে আসল উন্নয়ন। সেই উন্নয়নের দর্শনে রাষ্ট্র ও সরকারকে বুঝতে হবে। সেই উন্নয়নের দর্শনে রাষ্ট্রকে বিশ্বাসী হতে হবে। আমরা সেই উন্নয়নের প্রতিফলন দেখতে চাই।
মানবজমিন: নিখোঁজ বা গুম হওয়ার রহস্যের কোনো কিনারা হচ্ছে না। এ বিষয়ে রাষ্ট্র বা সরকারের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত?
ড. মিজানুর রহমান: গুম ও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া-এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। একজন জঘন্য অপরাধীও যদি গুম বা নিখোঁজ হয়ে যায় সেটিও কিন্তু মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কেননা, বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া এবং সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার একজন অপরাধীরও রয়েছে। সেই অধিকার থেকে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক যদি বঞ্চিত হয় সেটি হবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। একজন মানুষ নিখোঁজ হয়ে গেলেন, গুম হয়ে গেলেন আর এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা থাকবে না এটি কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বলাইবাহুল্য যে, রাষ্ট্রেরও এতে দায় রয়েছে। কেননা, কথায় আছে ‘দিনে দিনে বাড়িতেছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ’। একথা কিন্তু রাষ্ট্রের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, রাষ্ট্র যত বেশি অন্যায় ও অবিচারকে প্রশ্রয় দেবে এই অন্যায় অবিচার একদিন পুঞ্জীভূত হয়ে বিশাল আকার ধারণ করবে। তখন এগুলো মোকাবিলা করা রাষ্ট্রের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক সেটি নিশ্চয়ই আমরা কখনো কামনা করি না। আমার মনে হয় অতীতে যদি রাষ্ট্রের কোনো ভুল হয়ে থাকে এবং অতীত ভুলের জন্য রাষ্ট্র ক্ষমা চায় বা স্বীকার করে যে তার ভুল হয়েছে তাহলে রাষ্ট্র যে সভ্য হয়ে উঠেছে এটা কিন্তু তারই বহিঃপ্রকাশ।
মানবজমিন: অব্যাহতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে। কিন্তু এর তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে সংখ্যালঘুদের অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের করণীয় কি?
ড. মিজানুর রহমান: তিন বছর আগে আমি বলেছিলাম-পরিস্থিতি যেভাবে চলছে তাতে আগামী ২০ বছরের মধ্যে দেশে হিন্দু সমপ্রদায় বলে কিছু থাকবে না। কিন্তু আমার মনে হয়-২০ বছর একটু বেশিই বলে ফেলেছি। যে যাই বলুক বাস্তবতা হচ্ছে-দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্র সফলতা দেখাতে পারেনি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আমরা আরো সক্রিয় দেখতে চাই। আমরা আরো দেখতে চাই বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলেই সমমর্যাদা ভোগ করবে। নিরাপত্তাবোধ প্রত্যেকের ভেতরে কাজ করবে। বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিল সকল ধর্মের বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য। যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিগ্রহ চলতে থাকে, তারা যদি দেশত্যাগে বাধ্য হয়, তাহলে বাংলাদেশের আত্মা কিন্তু আর পবিত্র থাকে না। সেই আত্মাটা নষ্ট হয়ে যায়। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের যে বাংলাদেশে সেটি কিন্তু আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থাকে না। যে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা গর্ব করি সেই বাংলাদেশ আর থাকে না।
মানবজমিন: দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. মিজানুর রহমান: মানবাধিকার পরিস্থিতির সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করা কষ্টকর ব্যাপার। আমি যদি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যা, খ্রিষ্টান ব্যবসায়ীকে হত্যার বিষয়টি বিবেচনা করি তাহলে বলতে হয় গেল গেল, সব গেল। কিন্তু না সব শেষ হয়ে যায়নি। নারীদের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়ছে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে আসছে। মানুষের স্বাস্থ্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা প্রভূত উন্নতি করেছি। উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। এ জন্য সরকার প্রশংসার দাবিদার। এগুলো দেখে মনে হয় দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উপরের দিকে ছুটে চলেছে। যেটা আমাদের আশান্বিত করে। সুতরাং একদিকে যেমন মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ বিকাশমান অন্যদিকে কিছু বিষয় আমাদের উদ্বেগের ভেতরে ফেলে। কেননা, দেশের নাগরিকেরা এখনও পুরোপুরি নিরাপত্তাবোধ ও শঙ্কাহীনভাবে জীবনযাপন করবেন, সংখ্যালঘুরা সমমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকবেন-এটি বোধহয় আমরা এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। আমার মনে হয় রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে রাষ্ট্রকে আরো মনোযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রকে আরো সংবেদনশীল ও আরো বেশি নজর দেয়া দরকার। সর্বোপরি আমাদের রাষ্ট্রকে আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই।
মানবজমিন: ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সমপ্রতি একটি রায়ে হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছেন। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ইতিবাচক কোনো ভূমিকা আশা করেন কি?
ড. মিজানুর রহমান: সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বহু আগে হাইকোর্ট যখন এ প্রশ্নে রায় দিয়েছিল তখন থেকেই আমরা বলে আসছি-কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে হলে পুলিশকে তার পরিচয় দিতে হবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। গ্রেপ্তারের সময় কাউকে সাক্ষী রেখে গ্রেপ্তার করতে হবে ইত্যাদি। আমরা মনে করবো অনেক ক্ষেত্রেই যেখানে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই, অন্তত এই ক্ষেত্রে যেখানে মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা এগুলো জড়িত সেখানে এ অবস্থায় যে একটি আইন রয়েছে সেটি এবং এর প্রয়োগ আমরা দেখতে চাই। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ যেহেতু আইনের সমান তাই আমরা আশা করি সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের আদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে।
মানবজমিন: সদ্য শেষ হওয়া সহিংস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে?
ড. মিজানুর রহমান: যেভাবে ইউপি নির্বাচন হয়েছে তাতে যারাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করুক না কেন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারতো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এত মানুষের প্রাণের কি কোনো মূল্য নেই। নির্বাচনে যারাই প্রভাব বিস্তার করুক না কেন তাদের প্রতিহত করার সাহসই যদি না থাকে তাহলে সেই নির্বাচন কমিশন দিয়ে আমি কি করবো? সেই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার মানুষের প্রাণের মূল্য নিয়ে এরকম দায়িত্বহীন মন্তব্য করা কতটুকু শোভনীয় সে প্রশ্ন কিন্তু একজন করতেই পারে। সুতরাং একটি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই ইউপি নির্বাচন।
মানবজমিন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. মিজানুর রহমান: মানবজমিনকেও ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *