তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা

Slider জাতীয়

 

untitled-2_203685_212613_212832_217785_218034

 

 

 

 

 

কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) জমা দেওয়া হয়েছে।

রোববার কুমিল্লার সিআইডির সহকারী উপ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অফিস সহকারী ফারুক হোসেনের কাছ থেকে এই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কে পি সাহা জানান, দুপুরে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ কী, ধর্ষণের আলামত আছে কি-না, এ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। পরে ২৮ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালত নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ তনুর লাশ মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাড়ির কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। এতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত নয় এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন তনুর বাবা-মা।

ময়নাতদন্তের সময় নমুনা হিসেবে তনুর শরীর থেকে বিভিন্ন অংশ নেওয়া হয়। পরে সিআইডির রাজধানীর মালিবাগের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ওই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে চারটি ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি তনুর, অন্য তিনটি তিন ব্যক্তির। ডিএনএ প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ অবস্থায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির জন্য ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ছয় দফা সিআইডি ও মেডিকেল বোর্ডের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। ৫ জুন বিকেলে আদালত ডিএনএর পুরো প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।

আদালতের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ডিএনএর পুরো প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডকে দেয়। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুক্রবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মেডিকেল বোর্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *