তনুর তদন্ত নিয়ে  মুশকারী হচ্ছে!

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার আদালত সম্পাদকীয়

16205_tonu

 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর ডিএনএ প্রতিবেদন ২য় ময়নাতদন্ত চিকিৎসক বোর্ডকে  দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুস্তাইন বিল্লা’র আদালতে এ সংক্রান্তে একটি আদেশ রোববার রাতেই আদালত থেকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে পৌছে দেয়া হয় বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে। আদালত সিআইডি ঢাকার ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার এবং তনুর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তনুর দাঁত ও সোয়াব পরীক্ষার আলাদা আলাদা প্রতিবেদন সরবরাহ করার নির্দেশ দেন। আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পেলে ঝুলে থাকা দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চলতি সপ্তাহের যে কোন দিন দেয়া হতে পারে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম সোমবার বিকালে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সোহাগী জাহান তনুর লাশ গত ২০শে মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে পাওয়ার হাউজের পাশের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়। এরপর গত ৪ঠা এপ্রিল ১৫ দিনের মাথায় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা। পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা ওই প্রতিবেদনটি সাংবাদিকদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। এতে প্রথম ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ বা ধর্ষণের আলামত উল্লেখ ছিল না। মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এর আগে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এসময় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি তনুর দাঁত ও ভেজাইন্যাল সোয়াবসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, একটি মেয়েকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হল। প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্টে জালিয়তি ধরা পড়ল। তারপর পুনরায় ময়না তদন্ত হল। আর এই রিপোর্ট নিয়ে পুতুল খেলা হচ্ছে। প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্ট ভুল বা অনায় করার পর দ্বিতীয় রিপোর্ট নিয়ে টালবাহানা দুঃখ ও লজ্জা জনক। তদন্ত রিপোর্ট তদন্ত সংস্থাকে না দেয়ার দুঃসাহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কোথায় পায় তা বোধগম্য নয়। তবে সংরক্ষিত এলাকায় একজন শিক্ষার্থীকে গনধর্ষনের পর হত্যা যেমন লজ্জা জনক  এর চেয়ে বেশী লজ্জা জনক হল তদন্ত কাজে চুরি করা।
জাতি আশা করে, সরকার তনুর ন্যায় বিচারে কোন ভুল না করে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *