এমপি রানাসহ ১০ জনের মালামাল বাজেয়াপ্ত

Slider বাংলার আদালত

 

 

14871_mp

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনের সকল অস্থাবর মালামাল বাজেয়াপ্ত করেছে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী মামলার সকল পলাতক আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে অভিযানে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো মালামাল বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি পুলিশ। মালামাল ক্রোক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, এমপি রানার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।  টাঙ্গাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া জানান, মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের আদেশের খবর পাওয়ার পরপরই আসামিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেন। এসময় মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসার ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে একটি ফ্রিজ ও বেশ কিছু কাপড় ক্রোক করা হয়। এর আগে সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ফারুক হত্যা মামলার পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের নিদের্শন দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তার ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে পাঠান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় কবির হোসেন পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। পরে সংসদ সদস্য আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর মরদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *