রাঙামাটিতে জনসংহতি সমিতির কর্মীকে গুলি করে হত্যা

Slider জাতীয়

 

2016_05_14_01_26_17_ptdzVtRxyXO2wkq8F1WVTV9PS7SuCm_original

 

 

 

 

রাঙামাটি : রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মকবুল চাকমা (৪৫) নামে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাতেই সদর হাসপাতালে মারা গেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের আমতলী এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দোষারোপ করেছে। তবে ইউপিডিএফ তা অস্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, রাস্তা থেকে এক লোক মকবুল চাকমাকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের আমতলী এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে মকবুল চাকমাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।

প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, ‘মূলত মকবুল চাকমা ইউপি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করা হয়। পরে তিনি মারা যান।’

ইউপিডিএফ নেতা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই শুনিনি। ইউপিডিএফও এই ধরনের কোনো ঘটনার সাথে জড়িত নয়।’

রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা যতুটুক জেনেছি নিহত মকবুল চাকমা আগে ইউপিডিএফ করতেন, পরে তিনি সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত জনসংহতি সমিতিতে (এমএন লারমা)  যোগ দেন। সম্ভবত এই কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *