হুমকিতে ‘মেসিবালক’ এখন পাকিস্তানে

Slider সারাবিশ্ব

 

 

2016_05_04_11_07_45_fk7kSEwGVbsHZyU1vn9p5naAoMwNci_original

 

 

 

 

ঢাকা: আফগানিস্তানের মেসির ভক্ত সেই ছোট্ট শিশুটির কথা মনে আছে! ক্ষুঁদে এই ভক্তের জন্য নিজের জার্সি উপহার দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনাল মেসি। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে ‘মেসিবালক’ হিসেবে প্রচার পায় ৫ বছরের মোহাম্মদ মুর্তজা আহমাদি। কিন্তু মেসির ভক্ত হওয়ার কারণেই তাকে ও তার পরিবারকে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে। এখন তারা পাকিস্তানের কোয়াটায় আশ্রয় নিয়েছে।

এ সম্পর্কে মুর্তজার বাবা আরিফ আহমাদি কোয়েটা থেকে টেলিফোনে সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছে,‘আমাদের জীবন খুব কষ্টকর হয়ে ওঠেছিল।’ তিনি আরো জানান, তার পরিবার আফগানিস্তান ছাড়তে চায়নি। কিন্তু অব্যাহত হুমকির মুখে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের জাগুরি গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে মুর্তজা আহমাদি। কিন্তু মেসির উপহার পাওয়ার পর থেকে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। একটি অপরাধী চক্র তাদের কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা দেয়া না হলে মুর্তজাকে অপহরণেরও হুমকি দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন,‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় একজন গুন্ডা আমাকে ফোন করে। মেসি আমার ছেলেকে টি-শার্ট উপহার দেওয়ার পর থেকেই তার ধারণা, হয়ত আমার ছেলের জন্য অর্থও পাঠানো হয়েছে এবং সে তার ভাগ চাইছে।’ শেষে ছেলের জীবনের নিরাপত্তার জন্য গোটা পরিবার নিয়ে পাকিস্তান পাড়ি জমান।

তার বাবা আরো বলেন,‘আমি সবকিছু বিক্রি করে আফগানিস্তান ছেড়ে এসেছি। ছেলে আর পরিবারের নিরাপত্তার জন্যই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রথমে পরিবারটি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু এখানকার জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল হওয়ায় পরে তারা কোয়াটায় চলে আসে। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছে ‘মেসিবালক’ ও তার পরিবার।

প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা মেসির ব্যাপক ভক্ত পাঁচ বছরের মুর্তজা। সামর্থ না থাকায় সে পলিথিন ব্যাগ কেটে তাতে নীল কালিতে ‘মেসি’ ও ‘১০ নম্বর’ লিখে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের নীল-সাদা ‘জার্সি’ তৈরি করেছিল। সেই জার্সি পরা মুর্তজার ছবি দেখে মেসি তাকে উপহার হিসেবে রিজের সই করা দু’টি জার্সি ও একটি ফুটবল পাঠিয়েছিলেন। এতে দারুণ খুশী হয়েছিল মর্তুজা। এখনো মেসিকে ভালোবাসে সে। আশা, বড় হয়ে একদিন সে তার স্বপ্নের নায়ক মেসির সঙ্গে দেখা করবে। বলছিলেন তার বাবা আহমাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *